নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ পুরোহিতদের এপুজোয় আগে অঙ্ক কষতে হয়।অঙ্ক কষে পুজোর তিথি নির্দিষ্ট হওয়ার পর মন্ত্র উচ্চারন সহ অন্য নিয়ম।সেই অঙ্ক অনুযায়ী গত বছর সে পুজো হয়েছিল জুন মাসে।আর এবারে সেই পুজো হল শুক্রবার,৬ জুলাই।সে দেবতার নাম ব্রহ্মা ।পুরোহিত সহ ভক্তরা বিশ্বাস করেন,অঙ্ক কষে ঠিক হওয়া পুজোর তিথিতেই ব্রহ্মা দেব মর্ত্যে নেমে আসেন। শিলিগুড়ি আনন্দময়ী কালিবাড়ির পাশে ডিঅাই ফান্ড মার্কেট কালিবাড়ি রোডে সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে এদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত পুজো হল।উদ্যোক্তাদের সম্পাদক আশিস চৌধুরী জানিয়েছেন,রবিবার তাদের ব্রহ্মাদেবের প্রতিমা বিসর্জন । শুক্রবার পুজো শেষে প্রসাদ বিতরন শুরু হয়। ২৭ বছর ধরে তাদের পুজো চলছে।২৭ বছর আগে ওই এলাকায় প্রায়ই আগুন লাগতো। আগুনে বহু অসুবিধে হয়েছে। তারপর ব্রহ্মা পুজো চালু করার সিদ্ধান্ত । পুরোহিত শ্যামল চক্রবর্তী জানিয়েছেন,অঙ্ক কষেই এদিনের পুজোর সময় স্থির হয়। আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে পুজোর জন্য সব সহযোগিতা করা হয়। পুজো করেন পুরোহিত বিদ্যুত মুখার্জী।২৭ বছর আগে একবার আগুন নিভছিল না তখন মা আনন্দময়ীর মন্দিরে বারবার জল ঢালা হলে নাকি আগুন নেভে,এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। প্রয়াত দুলাল চৌধুরি এবং শ্যামল চক্রবর্তী প্রথম সকলের সহযোগিতায় এই পুজোর উদ্যোগ নেন।যদিও আশিস চৌধুরি বলেন,তাদের এলাকায় আগুন লাগলে দমকলের ইন্জিন প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে।তাছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে পুজোর পাশাপাশি ফায়ার এক্সটিংগ্যুইশার বা অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতা চান তারা। যদিও ব্রহ্মা পুজো শুরু হওয়ার পর আর আগের মতোন এলাকায় অগ্নিকান্ড ঘটেনি। এদিন অঙ্ক কষে শিলিগুড়ি হকার্স কর্নারের ব্যবসায়ীরাও ব্রহ্মা পুজোয় মাতেন।