নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে থাকবেন আর প্রাতঃভ্রমনে বের হবেন না! এমনটা হতে কেউ কখনও দেখেননি।তাই পাহাড়ে দ্বিতীয় দিনের সকালেও স্বভাবসিদ্ধভাবে প্রাতঃভ্রমনে বের হন মুখ্যমন্ত্রী ।আর তখনই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে যেমন তিনি জনসংযোগ করেন তেমনই পর্যটকদের সাথেও কথা বলেন। সোমবার এক বৃদ্ধাকে সাহায্য করা সহ শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার এক শিশুকন্যাকে জড়িয়ে ধরেও আদর করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সোমবার জিটিএ নির্বাচন নিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করে থমকে যাওয়া জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দার্জিলিং ্এর ম্যালে বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানের সরকারি অনুষ্ঠান ছিলো মুখ্যমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলিকেও উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দার্জিলিংয়ের ম্যালে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩লক্ষ ৮০হাজার চা শ্রমিককে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে,দার্জিলিংয়ে ২০বছর কোনও পাট্টা দেওয়া যায়নি আইনি জটিলতার জন্য। এবার পাট্টা দেওয়া শুরু হলো। ২১ হাজার পড়ুয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সাহায্য পেয়েছে, আরও ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দার্জিলিংয়ে হিল ইউনিভার্সিটি হবে। এবং
লক্ষীর ভান্ডার এর মাধ্যমে ১.৫৩কোটি মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দিল্লির লাড্ডুর দরকার নেই, আপনাদের দার্জিলিংয়ের লাড্ডুই যথেষ্ট,যে দেশে মহিলারা সুখী সেই দেশ সব থেকে সুখী হয়।সরকারি পরিষেবার সব টাকা সরাসরি উপভোক্তার একাউন্টে ঢুকে যাবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।