বাপি ঘোষ ঃ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য স্মরনীয় দিন। সেই রক্ত ক্ষয়ী আন্দোলনের পরেই মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এসেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
কিন্তু কেমন ছিল সেই বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি, তার সাক্ষী শিলিগুড়ির এই বৃদ্ধা।৯৭ বছরের এই বৃদ্ধার নাম মুকুল দাস।তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া শরৎ পল্লীতে।কিন্তু ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর সময় তিনি তখন বছর সাতাশের যুবতী।থাকতেন অবিভক্ত বাংলার ময়মনসিংহের টাঙ্গাইলে।একুশে ফেব্রুয়ারীর উত্তপ্ত আন্দোলন ঢাকাতে তীব্র আকার নিলেও টাঙ্গাইল ময়মনসিংহতেও মিটিং মিছিল হয়েছে। দিনে রাতে বাংলা ভাষার দাবিতে মিছিল হয়েছে, মিছিলের কান ফাটানো শ্লোগান তাঁর কানে এসেছে। তাঁর যুবতী মনে আওয়াজ উঠেছিল মিছিলে গিয়ে ভাষার দাবিতে আওয়াজ তোলার। কিন্তু তাদের সংরক্ষণশীল পরিবার হওয়ায় সে মিছিলে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।আজও একুশে ফেব্রুয়ারির কথা মনে পড়লে অন্যরকম হয়ে ওঠেন মুকুলদেবী। তবে এখনো ভাষার জন্য কলম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বলছেন, যার যার ভাষা, তার তার কিন্তু মধুর ভাষা বাংলা ভাষা। এই ভাষাতেই চাওয়া পাওয়া, এই ভাষাতেই প্রথম মা বলা।