
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গত বছরের জুলাই মাসের ২৫ তারিখে মাত্র ৩২ বছর বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় আলিপুরদুয়ার বাসিন্দা রাকেশ দে। সামান্য পান দোকান ছিল রাকেশের।এখন তাঁর স্ত্রী টুম্পা দে তিন বছরের শিশু কন্যা আরোহী এবং সাত মাসের পুত্র সন্তান রুদ্রিপ দেকে নিয়ে বেকায়দায়। একদিকে মৃত্যু শোক আরেকদিকে অর্থ সঙ্কট, কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।রাকেশের মা আলিপুরদুয়ার বাবুপাড়া নিবাসী রেখা দে মৃত্যু শোকে কাতর।তিনি শুধু করোনায় পুত্রকে হারাননি, হারিয়েছেন স্বামীকেও। সকলের সাহায্য চায় এই দিশেহারা পরিবার। যোগাযোগের নম্বর ৯২৩৩২২১৫৭০।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা এরকম বহু নিষ্ঠুর ধ্বংস লীলা চালিয়েছে।নৃশংসভাবে বহু মানুষের প্রান কেড়ে নেওয়ায় সেই সব হতভাগ্য পরিবারগুলো এখন শোকে, অর্থ কষ্টে ধুঁকছে। শিলিগুড়ি শান্তিনগরের নন্দিতা রায় দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে, ওর ভাই রনি রায় এবং বোন রানি রায় পড়ে নবম শ্রেণিতে।মধ্য শান্তি নগরে তাদের বাড়ি।কিছু দিন দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তারা হারিয়েছে তাদের মাকে।এর আগে তাদের বাবা মারা গিয়েছে।ফলে তিন ভাই বোন এখন অনাথ। কিভাবে সংসার চলবে,কিভাবে পড়াশোনা হবে তিন ভাইবোন ভেবে পাচ্ছে না। ওদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যোগাযোগের নম্বর ৭৪৭৯২৭৫১৬৫।শিলিগুড়ি মধ্য শান্তি নগরে ওদের বাড়ি।
শিলিগুড়ি গুরুংবস্তি নিবাসী মুন্নি ঠাকুর, অঞ্চল ঠাকুর এবং পঙ্কজ ঠাকুরও গত মে মাসে করোনাতে হারিয়েছে তাদের মা-কে। তার আগে ডিসেম্বর মাসে তারা তাদের বাবা-কে হারিয়েছে । ফলে সংসারে গভীর অন্ধকার।অর্থের অভাবে মুন্নিকে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার জন্য নাম লেখাতে হয়েছে। কিভাবে চলবে পঙ্কজ আর অঞ্চলের পড়াশোনা চিন্তিত বড়দি মুন্নি।তারমধ্যে রয়েছে বাড়ি ভাড়া সংগ্রহ। কঠিন লড়াই এই অনাথেরা।এদের চাই সাহায্য, যোগাযোগের নম্বর ৯৫৪৭৪৬২২০৩/৮৫৯৭৯৮৬১৯৭। খবরের ঘন্টার তরফে সকলের কাছে হঠাৎ অনাথ হয়ে যাওয়া ওইসব পরিবারগুলোর পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বুধবার শিলিগুড়ি সুভাষ পল্লীতে ভারত সেবাশ্রম সংঘ এরকম মোট ১৩ জনকে নগদ দশ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করেছে। এরমধ্যে সাতজন শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা আলিপুরদুয়ার,বীরপাড়া সহ অন্য এলাকার বাসিন্দা। করোনার জেরে এদের প্রত্যেকেরই পরিবারে কারো না কারো মৃত্যু হয়েছে। ফলে পরিবারগুলো অভিভাবকহীন হয় পথে বসেছে। এদিন ভারত সেবাশ্রম সংঘ তাদের সকলেকে আদর ফান্ডের মাধ্যমে সহায়তা করেছে।করোনায় অভিভাবক হারিয়ে অনাথ হওয়া শিশুদের জন্য ভারত সেবাশ্রম সংঘের এ এক বিরাট মানবিক উদ্যোগ।শিলিগুড়িতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সম্পাদক স্বামী ধর্মাত্মাননদজী মহারাজ এবং স্বামী অতীশানন্দজী মহারাজ এদিন তাদের সেই মানবিক কর্মসূচির কথা জানিয়ে শোকগ্রস্ত সেই সব পরিবারকে সান্তনা জানান।
