নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এম বি বি এস এবং এম এস পাশ করেছেন। বিভিন্ন নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে অফার এসেছে। কিন্তু সেই সব অফার বা প্রচুর অর্থ সম্পত্তি ভোগের হাতছানি উপেক্ষা করে গ্রামের গরিব মানুষের সেবাকেই নিজের চিকিৎসক জীবনের বড় সেবা মনে করছেন নকশালবাড়ির তরুন শল্য চিকিৎসক ডাঃ শরদ স্যাংদেং। নকশালবাড়ির হোলি প্যালেস হাসপাতালে তিনি বহু মানুষের সেবা করে এক ব্যতিক্রমী নজির সৃষ্টি করেছেন। স্থানীয় মানুষেরা তাঁর এই মহৎ ভাবনাকে ইতিমধ্যে স্যালুট জানাচ্ছেন। ব্যতিক্রমী এবং সংবেদনশীল এই চিকিৎসক ডাঃ শরদ বলছেন,কোনও মানুষ অন্যের উপকার বিশেষ করে গরিব মানুষের উপকার করলে প্রকৃতপক্ষে নিজেরই উপকার করছেন। ডাক্তার স্যাংদ্যাংয়ের বাবা-মা ওই হাসপাতালের ট্রাস্টি। গরিব মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই গোটা উত্তরবঙ্গে নাম ছড়িয়েছে হোলি প্যালেস হাসপাতালের। সেই হাসপাতালে অনেক কঠিন অস্ত্রপচারের মাধ্যমে অনেক মানুষকে সুস্থ করে তুলেছেন এই শল্য চিকিৎসক। অর্থ রোজগার তেমন নেই বলে বহু চিকিৎসক গ্রামের পথে পা মাড়ান না, অধিক থেকে অধিক অর্থ রোজগারের চিন্তায় বহু চিকিৎসক শহর থেকে অতি বড় শহরের দিকে ছোটেন সেখানে গ্রামের মানুষের সেবা করার ভাবনায় গ্রামের হাসপাতালে নিজেকে সঁপে দেওয়ার এই মহৎ ভাবনা ডাক্তার স্যাংদেংকে বিরল সংবেদনশীল চিকিৎসক হিসাবে চিহ্নিত করেছে