নকশালবাড়ির ধীমাল জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের পুজোয় করোনা সচেতনতার ব্যাপক প্রচার, গোটা গ্রামে মহালয়া থেকে নিরামিষ গ্রহণ শুরু

বাপি ঘোষ ঃ উত্তরবঙ্গের আদিম জনজাতি ধীমাল সম্প্রদায়ের মধ্যে মূর্তি পুজোর প্রচলন নেই। আড়াইশ বছর ধরে তাঁরা শিলা পুজো করে আসছেন। সে পুজোকে তারা বলেন দান্তা ওয়াড়া বেড়াং দিবসা। কিন্তু তাদের গ্রামে এখন রাজবংশী, নেপালি সম্প্রদায়ের জনজাতির বসবাস রয়েছে। রাজবংশী নেপালিরা ধীমালদের তেইশ বছর আগে প্রস্তাব দেয়, তোমাদের শিলা পুজো যেমন হয়ে আসছে তেমন হোক তারসঙ্গে দেবী দুর্গার মূর্তি এনে মূর্তি পুজোও হোক। শিলা পুজো আর মূর্তি পুজো মিলিয়ে সম্প্রীতির পুজোহোক। সেই থেকে নকশালবাড়ির পূর্ব কেটুগাবুরজোত, মাল্লাবাড়ি এলাকায় দুর্গা পুজো মানে সম্প্রীতির পুজো। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সে পুজোয় চাঁদা দিয়ে থাকেন।এবার পুজো মন্দির চত্বরে করোনা সচেতনতার প্রচার ছাড়াও পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে, চলছে পানীয় জলের অপচয়ের বিরুদ্ধে প্রচার। প্রচার হচ্ছে বাল্য বিবাহ সহ অন্যান্য সামাজিক সচেতনতার বিষয়েও। মহালয়া থেকে সেখানকার গ্রামের সব মানুষ নিরামিষ খাবার গ্রহণ করছেন।দশমী পর্যন্ত চলবে নিরামিষ গ্রহণ। নকশালবাড়ির ধীমাল জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের সেই পুজো নিয়ে মঙ্গলবার ধীমাল সম্প্রদায়ের প্রানপুরুষ তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গর্জেন কুমার মল্লিক অনেক কথাই বলেন।
পুজোর জন্য ধীমাল সম্প্রদায়ের আলাদা নৃত্যও রয়েছে। শিল্পী প্রতিমা সিংহ মল্লিকের পরিচালনায় ধীমাল সম্প্রদায়ের মেয়েরা মঙ্গলবার পুজো মন্দিরের সামনে ধীমাল নৃত্যও পরিবেশন করেন।