মাধ্যমিকে দারুণ ফল বিশেষচাহিদাসম্পন্ন বিত্তমের, চাই সাহায্য

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃকরোনা লকডাউনের চাপ সহ্য করতে না পেরে গত ৪ঠা মে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরনজনিত কারনে মারা গিয়েছেন শিলিগুড়ি রবীন্দ্র নগরের টোটো চালক কমল কুমার পাল। তার স্ত্রী সুজাতা পাল এখন বাড়ি বাড়ি শাড়ি চুড়িদার ফেরি করেন।অথচ এরমধ্যেই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ থেকে দারুণ ফল করেছে কমল পালের পুত্র বিত্তম পাল।ওর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬২। শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিত্তম।আগামীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ইঞ্জিনীয়ার হতে চায় বিত্তম।কিন্তু ওর এখন মাথায় ঘুরছে অর্থ চিন্তা। সকলের সহযোগিতা পেলে পড়াশোনায় আরও এগিয়ে যেতে পারবে এই মেধাবী ছাত্র।
ছোট বেলায় জ্বর হলে বিত্তমকে একটি ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মেডিক্যাল থেকে সে আর বাঁচবে না বলে জানানো হয়।শেষে বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাঃ সুবল দত্তের প্রয়াসে তাঁর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে বিত্তম। কিন্তু তাঁর শরীরের বাম দিকের অংশ কার্যত অসাড় হয়ে পড়ে। এই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে আজ মাধ্যমিকে দারুণ ফল করেছে বিত্তম। মেডিক্যাল বোর্ডের হিসাবে ও শারীরিকভাবে ৬৫ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন।এবার মাধ্যমিকে ওর প্রাপ্ত নম্বর বাংলা ৯০, ইংরেজি ৯৩, অঙ্ক ৯৬, ভৌত বিজ্ঞান ৯৬,জীবন বিজ্ঞান ৯৮,ইতিহাস ৯২, ভুগোল ৯৭।ওর স্কুলের শিক্ষক পুলক জোয়ারদারের কথায়,অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র বিত্তম। তাঁরা সবসময় ওকে সহায়তা করেছেন। তবে সবাই মিলে ওর পাশে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে বিত্তম।
বিত্তমের দাদা বিদ্যুৎ পালওও খুব মেধাবী। শিলিগুড়ি কলেজ থেকে অঙ্কে অনার্স নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছে বিদ্যুৎ। এখন তাঁর মাথায় সংসারের চাপ পড়েছে। কেননা সম্প্রতি তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। ফলে প্রাইভেট টিউশন করতে হচ্ছে তাঁকে। আর বিত্তমের মা লোকের বাড়ি বাড়ি শাড়ি, চুড়িদার ফেরি করছেন। কিন্তু করোনার জেরে সে কাজেও সমস্যা হচ্ছে। তাই বিত্তমের পড়াশোনার জন্য সকলের সহযোগিতা চান বিত্তমের মা সুজাতাদেবী।যোগাযোগের নম্বর ৮১০১০৮৭৩৫২।