রেলওয়ে ট্র্যাকে সতর্ক লোকো পাইলটের জন্য হাতির প্রান রক্ষা,হাতি বাঁচাতে রেলের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করায় বিগত কয়েক বছর ধরে শতাধিক হাতির প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে রেললাইনে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এন এফ রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ জানিয়েছেন, ট্রেনের সাথে হাতির ধাক্কা লাগলে হাতির পাশাপাশি যাত্রীদের জন্যও এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।সম্প্রতি তিনটি হাতিকে লামডিং ডিভিশনের এর বোকাযান খটখটি স্টেশনের মধ্যে ট্র্যাক অতিক্রম করতে দেখেন ট্রেনের লোকো পাইলট গোপাল প্রসাদ এবং এস সি যাদব।তারা সঙ্গে সঙ্গে জরুরিকালীন ব্রেক করে হাতিগুলির প্রাণ রক্ষা করেন। ট্রেন হাতির সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওেয়ের পক্ষ থেকে প্ল্যান বি গ্রহণ করা হয়েছে। এমন একটি ডিভাইস বিকশিত করা হয়েছে যা ৪০০ মিটার পরিধির মধ্যে মৌ মাছির শব্দের মতো ধ্বনি সৃষ্টি করে। এই ধরনের প্রথম ডিভাইসটি রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত আজরা ও কামাখ্যা স্টেশনের মধ্যে এন এন ২৭৪ লেভেল ক্রসিং গেটে স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর এমন ধরনের ডিভাইস উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওেয়ের অধীনে হাতি দুর্ঘটনাপ্রবন এলাকার ৫৫টি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। হাতির সুরক্ষার জন্য বনবিভাগের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতায় এমন আরও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন এক) ডিভিশনাল কন্ট্রোলে বন আধিকারিকদের নিয়োগ ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হাতির চলাফেরার রিয়েল টাইম মনিটরিং, দুই)চিহ্নিত স্থানগুলোতে গতি বিধিনিষেধ লাগানো হয়েছে, তিন)ট্রেন চালক ও গার্ডদের মধ্যে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করা,চার) হাতির করিডোরে প্রবেশের সময় চালকদের সতর্ক করতে সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা , পাঁচ) হাতি অতিক্রমের জন্য র ্যাম্প অথবা আন্ডারপাস নির্মাণ, ছয়)ভালোভাবে দেখার জন্য ট্র্যাকের নিকটস্থ জঙ্গল পরিস্কারকরন।
এসব পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ২০১৭ সাল থেকে সমগ্র ভারতীয় রেলওয়েতে ৯৫০টিরও বেশি হাতির প্রান রক্ষা সম্ভব হয়েছে বলে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন।