বাবা ভ্যান চালক মা জনমজুর, উচ্চ শিক্ষার দুর্ভাবনা দূর করতে সবার সাহায্য চায় ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বাবা রিকশা ভ্যান চালায়। মা রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে যোগালি বা জনমজুরের কাজ করে।কিন্তু এইরকম আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এবার মাধ্যমিকে ৬৩৫ নম্বর পেয়ে অনেকের নজর কাড়ল শিলিগুড়ি রবীন্দ্র নগর গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ভাবনা রায়।মোট ৬৩৫ নম্বরের মধ্যে ওর প্রাপ্ত নম্বর বাংলা ৮৭,ইংরেজি ৯১,অঙ্ক ৯১,ভৌত বিজ্ঞান ৯০,জীবন বিজ্ঞান ৯২, ইতিহাস ৯৪,ভুগোল ৯০।ভাবনার এখন দুর্ভাবনা, আগামীদিনে সে কিভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। কারন ঘরে অভাব।ভবিষ্যতে কলা বিভাগে ভুগোল, ইতিহাস, দর্শন শাস্ত্র, এডুকেশন নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চায় ভাবনা। ওর স্বপ্ন, বিনা পয়সায় গরিব ছাত্রছাত্রীদের টিউশন দেওয়া। শিক্ষিকা হতে না পারলে ওর ইচ্ছে পুলিশ অফিসার হওয়া। পুলিশ হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজে নামতে চায় সে। মোবাইল একপ্রকার নিজের কাছে না থাকাতে অনেক সময় অনলাইনে ক্লাস করতে সমস্যা হয়েছে। তবুও কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া হাতিয়াডাঙায় বাড়ি ভাবনার।শিলিগুড়ি রবীন্দ্র নগর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দুর্বা ব্রহ্ম ভাবনার এই সাফল্যে খুশি।তিনি এবং তাঁর স্কুলের সব শিক্ষিকা ভাবনাকে এই করোনা পরিস্থিতিতে সবসময় উৎসাহিত করেছেন। ওই স্কুলের ছাত্রী খুকু অধিকারী ৬১৮ এবং অনিন্দিতা শীলও ৬০১ পেয়ে এবার নজর কেড়েছে সকলের। শিক্ষানুরাগী মানুষেরা আগামীতে এইসব দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রীদের বই খাতা দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন।ভাবনাকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ নম্বর ৯৮৮৩৪৪৭০৫৮, খুকু অধিকারীর নম্বর ৭৬০২৯০৮৭১৩,অনিন্দিতা শীলের নম্বর ৮১৬৭২৩৩৪২২।