পহেলা বৈশাখ বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস, লিখেছেন বাবলী রায় দেব

বাবলী রায় দেবঃনতুন উষা নতুন আলো/নতুন বছর কাটুক ভালো।করোনার বিষন্নতায় আচ্ছন্ন বাঙালি নবপ্রভাতের আহ্বানে আশার আলো জুগিয়ে ঘর-মনকে আবার  নতুন সাজে সাজাতে ব‍্যাস্ত।উৎসবমুখর বাঙালির দোরগোড়ায় পহেলা বৈশাখ।১৪২৭ সনের  বর্ষপঞ্জী সরিয়ে ১৪২৮ সনের বর্ষপঞ্জী জায়গা নেবে ঘরের দেওয়ালে।চোদ্দই এপ্রিল  বাংলা সনের পঞ্চত্বপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তার স্থান হবে ইতিহাসের পাতায় কিন্তু জীবন এগিয়ে যাবে নিজস্ব  গতিতে,কেবল অতীতের কিছু  স্মৃতি লুকোচুরি খেলবে মনের অন্তরালে নিজের অজান্তেই। যুগ যুগ ধরে এমনটাই হয়ে আসছে।

যে সময়কে  চোখে দেখা যায়  না সেই সময়ের ঘটনাক্রমের  উত্থান পত্তনের কাহিনী  দিন-মাস-কাল বা বছরের আঙ্গিকে পাথরের গায়ে,তাম্রপত্রে,কাগজের পাতা কিংবা যন্ত্র বোধহয় এজন্যে  বন্দী করা হয় যাতে প্রয়‍োজনে -অপ্রয়োজনে অতীতের বাক্স খুলে সুখস্মৃতি রোমন্থন করে কিছুক্ষণের জন্য গা ভাসিয়ে নিতে পারি সময়ের স্রোতে!!অথচ কে কবে কোথায় কখন প্রথম সময়কে বন্দী করার কথা চিন্তা করেছিলেন,সেটা ভাবতেও অবাক লাগে। এখানেও কিন্তু সেই কার্য-কারণ তত্ত্ব কাজ করে গেছে।
কাজের সুবিধার জন্য আমাদের আদিপুরুষরা কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই যে বর্ষপঞ্জী বা ক‍্যালেন্ডারের উদ্ভাবন করেছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।এই কার্যকারিতাকে সফল রূপ দিয়ে পূর্বপুরুষরা আমাদের  বর্তমান জীবনপ্রবাহকে যেমন একদিকে সহজ সুন্দর করেছেন তেমনি রেখে গেছেন তাঁদের অসাধারণ কর্মদক্ষতার নিদর্শন।

প্রাচীন ভারতে বছর শুরু হতাে বসন্তের আগমনে। সময়ের আবর্তনেই প্রকৃতির প্রকাশ ঘটে।এটাকে মাথায় রেখে ভারতীয় পণ্ডিতরা সূর্য, চন্দ্রসহ অন্যান্য গ্রহনক্ষত্রের ক্রমাবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করে সময়ের হিসাব রাখার চেষ্টা শুরু করেন যার প্রমাণ পাওয়া যায় পঞ্চম শতকের পণ্ডিত আর্যভট্টের একটি শ্লোকে।তিনি তাঁর আর্যভট্টীয় গ্রন্থে  শ্লোকটির মাধ্যমে বারো মাসের একটি  হিসেব দেন…বর্ষ দ্বাদশ মাসাস্ত্রিংশদ্দিবসো ভবেৎ স মাসস্তু।/ষষ্টির্নাড়্যো দিবসঃ ষষ্টিশ্চ বিনাড়িকা নাড়ী।।অর্থাৎ একবছর বারো মাসে, এক মাস তিরিশ দিনে, একদিনে ষাট নাড়ী আর ষাট নাড়ী  ষাট বিনাড়ীতে বিভক্ত।ষষ্ঠ শতকে পণ্ডিত লটদেব তাঁর রোমক গ্রন্থে এটিকে আরো পরিমার্জিত করেন।

পরবর্তীকালে ৫৫০ শতকে বরাহমিহির তাঁর পাঁচ খন্ডের বিশ্বখ‍্যাত  পঞ্চসিদ্ধান্তিকা গ্রন্থে বছরকে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে  বারটি ভাগে ভাগ করেন এবং প্রতিটি ভাগের  নাম দেন রাশি।সূর্য এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করলে একটি মাস শুরু হয়,সেই হিসেবে  রাশির শেষ দিনটির নাম দেন সংক্রান্তি।এভাবে  এক বছরে মোট বারটি সংক্রান্তি পাওয়া যোগ দেখা যায়। মজার কথা  সেই সংক্রান্তি পালনের ধারাবাহিকতা আজও বিদ‍্যমান।যে মাসে সূর্য মেষ রাশিতে  প্রবেশ করে  সেই মাসের নাম দেন বৈশাখ এবং তিনিই প্রথম বছর গণনার ক্ষেত্রে বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে ধার্য করার সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করেন।রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজসভায়  নয়জন পণ্ডিতের অন‍্যতম বরাহমিহিরকে এইজন্যই  আধুনিক ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক বলা হয় এবং তাঁর লেখা পঞ্চসিদ্ধান্তিকাকে সমস্ত জ‍্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের মূল আকড়গ্রন্থ বলে স্বীকার করা হয়।পরবর্তীতে সপ্তম শতকে গৌরবঙ্গের  রাজা শশাঙ্ক ক্ষমতায় এসে’সূর্যসিদ্ধান্ত’ভিত্তিক বর্ষপঞ্জী অনুসারে বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন।

‘বঙ্গাব্দের উৎস কথা‍’ শীর্ষক প্রবন্ধে সুনীলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য,“সৌর বিজ্ঞান ভিত্তিক গাণিতিক হিসাবে ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ এপ্রিল, সোমবার, সূর্যোদয় কালই বঙ্গাব্দের আদি বিন্দু।‍’
খ্রিষ্টপূর্ব ৫৭ অব্দ থেকে বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে, হিন্দু বিক্রমী বর্ষপঞ্জীর সূচনা হলেও বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে শশাঙ্কের বঙ্গাব্দকেই নির্দেশ করা হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসকদের উপস্থিতিতে তথ‍্য সমন্বয়ের অভাবে পঞ্চদশ শতকে  সুলতান আলাউদ্দিন শাহ হিজরি ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে প্রথম বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরি করেন যেটি ছিল রাশির সৌর বর্ষ ও হিজরি চন্দ্র বর্ষের সংমিশ্রণ।এরপর আকবর  পনেরোশ ছাপান্নো সালে পানিপথের দ্বিতীয়  যুদ্ধে হিন্দু রাজা হিমুকে পরাজিত করে পাঁচই নভেম্বর সিংহাসনে বসে ওই বছরের পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেন যেটাকে বিভিন্ন নথিপত্রে প্রথম বাংলা নববর্ষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পরবর্তীকালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য ইরান থেকে পার্সিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতুল্লাহ শিরাজীকে এনে চন্দ্র  বছর অনুযায়ী বাংলা সন ঠিক করার দায়িত্ব দেন যার আকবর।শিরাজী পার্সিয়ান বর্ষপঞ্জী মেনে তারিখ- ই- ইলাহী নামে পনেরোশ চুরাশি সালে বাংলা সন চালু করলেও এর কার্যকারিতা কিন্তু  শুরু হয়  যায় পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর  থেকেই।

বাংলা সাল ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছে সেটা নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত  থাকলেও বাংলার সভ‍্যতার বয়স যে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো তার প্রমাণ দেউলপোতাসহ রাঢ় অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতন প্রস্তর যুগের হাতিয়ার ছাড়াও উয়ারী-বটেশ্বরের ধ্বংসাবশেষের   নিদর্শন।এরও হাজারখানেক বছর আগে বেদ গ্রন্থিত হয়ে গেছে যা থেকে অনুমান করা হয়,বৈদিক ক্যালেন্ডারসমূহ ততোদিনে সংহতরূপ পেয়েছে। ওই সময়ে বাংলাতেও বৈদিক ক্যালেন্ডারের একটি স্থানীয় অভিযোজিতরূপ ব্যবহৃত হতো বলে অনুমান।তবে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়  সৌরসিদ্ধান্তিকাকে ভিত্তি করে দিন-মাস-বছর গণনা সৌরবর্ষভিত্তিক স্থানীয় বর্ষপঞ্জী  চতুর্থ শতকে এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত ছিলো যা প্রায় শশাঙ্কের শাষনকালের ২০০ বছর আগে,হুসেন শাহের শাষনকালের ৮০০ বছর আগে এবং আকবরের শাষনকালের ৯০০ বছর আগে।

এ প্রসঙ্গে অপর একটি তথ্য থেকে জানা যায় ,কৌলিয় সম্রাট অঞ্জন খ্রীস্টপূর্ব ৬৯১ সালে অর্থাৎ গৌতম বুদ্ধেরও দেড়শ’ বছর আগে প্রথম পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন করেছিলেন। ইতিহাস বলে, সম্রাট অঞ্জন ছিলেন গৌতম বুদ্ধের মাতা মায়াদেবীর পিতা।
এ প্রসঙ্গে  ইন্দো -আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী সুভাষ কাকের  তথ্য বর্তমানে ব‍্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।তাঁর দাবী, খ্রীষ্টপূর্ব ৬৬৭৬ তে তৎকালীন বৈদিক ঋষিমুনীরা ‘সপ্তর্ষি বর্ষপঞ্জী’ নামে একটি শতবর্ষপঞ্জীর প্রবর্তন করেছিলেন এবং সেটি ছিলো সর্বপ্রাচীন বর্ষপঞ্জী। তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।

বেদ যখন অগ্রন্থিত ছিলো বৈদিক ঋষিরা তখন চন্দ্র-সূর্যসহ অন‍্যান‍্য নক্ষত্রসমূহের অবস্থান এবং গতিবিধি মেনে তিথি-নক্ষত্র  অনুযায়ী পূজাআর্চা যজ্ঞ-হোম করতেন।এর থেকে বোঝা যায় তখনও দিনক্ষণের হিসেব রাখার জন্য বর্ষপঞ্জী ব্যবহার করা হতো অর্থাৎ ব্রোঞ্জ যুগের অন্তিম পর্ব থেকে লৌহ যুগে বৈদিক ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জীর প্রচলন ছিল।রাতের নির্মল আকাশের দিকে তাকালে কোটি কোটি নক্ষত্রের ভিড়ে  সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমাবেশ চোখে পড়ে যাদের আমরা সপ্ত-ঋষি নামে জানি।ব্রহ্মার মানসপুত্র এই সাত ঋষিবর হলেন—ভৃগু, মরীচি, অত্রি, পুলহ, পুলস্ত্য, ক্রতু, বশিষ্ঠ। মানুষের বিশ্বাস,এই সপ্ত ঋষিগন জীবের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রে পরিভ্রমণ করে থাকেন, তাদের এই স্থান পরিবর্তনকে কেন্দ্র করেই  সৃষ্টি হয়েছে ‘সপ্তর্ষি বর্ষপঞ্জী’। এ প্রসঙ্গে বলার অপেক্ষা রাখে না আমাদের  নাম এবং বংশপরিচয়ের সঙ্গে  গোত্র হিসেবে এই ঋষিদের নাম উচ্চারণ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে।

তখনকার ঋষিগন পূজাপার্বণের দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য  সূর্যের গতিবিধি অনুযায়ী  উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন গণনা করে  বছরকে  বারাে মাসে ভাগ করে নাম দিয়েছিলেন—তপঃ,তপস্যা, মধু, মাধব, শুক্র, শুচি,নভস,নভস্য, ইষ, উজ, সহস ও সহস্য।
পরবর্তী পনেরোশো বছর কালগণনা, পূজা আর্চার মাধ্যম ছিলো ‘বেদাঙ্গ জ্যোতিষ’।পঞ্চপাণ্ডবদের চোদ্দ  বছর বনবাস এবং এক বছর অজ্ঞাতবাসের সময় নির্ধারণ ‘বেদাঙ্গ জ্যোতিষ’ পঞ্জিকার সময় অনুসারে করা হয়েছিল বলে বিশ্বাস। পরবর্তীকালে আর্যভট,বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত, খনার মতাে বিদ্বান ও বিদূষীদের হাত ধরে ভারতীয় জ্যোতিষ চর্চা উন্নতির শিখর স্পর্শ করে।

এ প্রসঙ্গ একটি ছোট্ট কথা, জন্মের পর থেকে পহেলা বৈশাখ পালন করে এসেছি চোদ্দই এপ্রিল। বিশ্বের আপামর বাঙালি সেটাই করে এসেছেন কিন্তু বিগত কিছু বছর যাবৎ সেই পহেলা বৈশাখ পালন করছি পনেরোই এপ্রিল।পৃথিবীর এক বার সূর্য প্রদক্ষিণে সময় লাগে ৩৬৫.২৫৮৭৫৬ দিন। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে সূর্য প্রদক্ষিণে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫.২৪২২ দিন।সেই হিসেবে  বাংলা পঞ্জিকায় এক বছর  ৩৬৫.২৫৮৭৫৬- ৩৬৫.২৪২২= ০.০১৬৫৫৬ দিন বা ২৩ মিনিট ৫০.৪৩৮৪ সেকেন্ড এগিয়ে রয়েছে। বাংলা সন প্রায় ২৪ মিনিট এগিয়ে থাকার ফলে প্রতি ৬০ বছরে ইংরেজি ক্যালেন্ডারে এক দিন বেড়ে যায়। রাজা শশাঙ্কর আমলে পয়লা বৈশাখ পালিত হতো ২১/২২ মার্চ। ২১শে মার্চ বা ৭ই চৈত্র দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ও দিন সারা পৃথিবীতে দিন-রাত সমান। ওইদিন সূর্য ও দিন ক্রান্তিবৃত্তের মহাবিষুব বিন্দুতে থাকে বলে দিনটিকে মহাবিষুব বলে যদিও বর্তমান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২১শে মার্চ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর বছরের দুটি দিনেই দিন ও রাত সমান বলে ধরা হয়।দিনের এই তারতম‍্য চলতে থাকলে নশো বছর পরের পহেলা বৈশাখ  পহেলা মে পালিত হবে বলে পণ্ডিতদের বিশ্বাস।

বিশ্বায়নের যুগে দাঁড়িয়ে ঔপনিবেশিকতার দাপটে বাঙালির জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও পয়লা বৈশাখ এবং হালখাতা এখনও বঙ্গ সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় অনুষ্ঠান। এখানেও
বৈদিক ঋষিমুনীদের জয় জয়কার কারণ তাদের দেওয়া  বিদ‍্যের ওপর ভিত্তি করেই হালখাতার পূজা আর্চা থেকে শুরু করে  বিয়ে-অন্নপ্রাশন-গৃহপ্রবেশ সবেতেই শুভকর্মের দিনক্ষণমুহূর্ত  নির্ধারণের জন্য  সূর্যসিদ্ধান্তিকাভিত্তিক পঞ্জিকাকে অনুসরণ করা হয়।

এবারের ১৪২৭ সনের পহেলা বৈশাখেও সেটাই হবে।বাঙালি বাঙালিয়ানায় ফিরে এসে দিনের শুরুতে স্নান সেরে নতুন বস্ত্র পরে গুরুজনদের পা ছুঁয়ে নিখাদ বাঙালি খাওয়ারে রসনাতৃপ্তি করে সারম্বড়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে মেতে উঠবে। উচ্চনিম্ন,জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে প্রভাতফেরী,শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। মন্দিরে মন্দিরের পাজামা-পাঞ্জাবী,শাড়ী পড়া আধুনিক আধুনিকাদের ঢল দেখা যাবে।নিজের নামের পাশে পৌরাণিক ঋষির নামে গোত্র পরিচয় তুলে ধরে ইষ্ট দেবতার কাছে আশীষ চেয়ে যখন উজ্জ্বল হাসি হেসে উত্তাপ  ছড়াবে তখন সবকিছুকে একপাশে সরিয়ে এটাই মনে হবে,স্বকীয়তা বজায় রেখে এখনো বাঙালি আছে বাঙালিয়ানাতেই যাকে বিশ্বায়নের কালো ধোঁয়া এখনো গ্রাস করতে পারেনি।পহেলা বৈশাখের উন্মাদনার  জন‍্যই বাঙালি জাতির জীবনে আরেকটি পালক জুড়েছে।ইউনেস্কো  ২০১৬ সালে বাঙালির প্রিয় এই লৌকিক উৎসবের দিন পহেলা বৈশাখকে বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন…শুভ নববর্ষ 🙏