অনলাইনে ক্লাস, তবুও অতিরিক্ত ফী দেওয়ার চাপে ক্লান্ত বহু অভিভাবক

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনার জেরে বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষ বহু ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।বহু মানুষ যেমন অসুস্থ হয়েছেন, অনেকে আবার প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আবার বহু কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। আর্থিক সঙ্কটে বহু মানুষ দিশেহারা। এরমধ্যেই আবার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। করোনা গ্রাস করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও। শিশুদের অবস্থা করুন। বিভিন্ন মহলের অভিমত, করোনা বিরাট ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। কেননা অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও তাতে তেমনভাবে এগিয়ে যায় না শিক্ষা। আর এরমধ্যেই অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন, বেশ কিছু বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রীতিমতো চাপ তৈরি করছে অভিভাবকদের ওপর। তাঁরা অতিরিক্ত ফী আদায় করছে। এমনিতেই আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বহু অভিভাবক। তারমধ্যে অতিরিক্ত ফী এর চাপ তাদের ক্লান্ত করে তুলছে। শিলিগুড়িতে বেশ কিছু অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, এখন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। স্কুল বাস চলে না। অথচ বহু স্কুল বাস ভাড়া অতিরিক্ত হারে আদায় করছে। এমনকি অভিভাবকদের ভয় দেখিয়ে বাস ভাড়া বাবাদ আদায় করা অর্থ স্কুলগুলো বাস মালিক বা চালকদের না দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের গার্ডিয়ান ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সন্দীপন ভট্টাচার্য বলেছেন, কিছু বেসরকারি স্কুলের এই অতিরিক্ত ফী আদায় করার অত্যাচার সম্পর্কে তাঁরা বারবার প্রশাসনের উচ্চ মহলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। প্রশাসন থেকে কিছু দিন আগে এনিয়ে বৈঠকও হয়েছে। স্কুলগুলোকে অতিরিক্ত ফী আদায় না করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা সেকথা শুনছেন না।তাই তাঁরা প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করছেন আবারও। কিছু স্কুলের এরকম অসভ্যতা দিনের পর দিন চলতে পারে না।