
নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি, ১৩ অক্টোবরঃ করোনা আবহে সম্পূর্নভাবে অচল হয়ে গিয়েছিল ডুয়ার্সের পর্যটনশিল্প। রাজ্য পর্যটন দফতরের কল্য্যানে অবশেষে পুজোর পর্যটন মরসুমে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে বন্যপ্রানের সৌন্দর্য আহরন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। পুজোর মধ্যে অল্পবিস্তর বুকিংও আসতে শুরু করেছে।

এতদিন করোনার কারনে বনাঞ্চলে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকলেও, ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক করতে উৎসাহ দেখাচ্ছে রাজ্যের পর্যটন ও বন দফতর। পর্যটকদের জন্য প্রায় প্রতিটি পার্ক বনাঞ্চল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হোল ডুয়ার্সের গরুমারা জঙ্গলের যাত্রাপ্রসাদ টাওয়ার। এতদিন লাটাগুড়ি থেকেই বন্যপ্রানী দেখার জন্য গরুমারা চাপরামারি জঙ্গলে প্রবেশের জন্য টিকিট দেওয়া হোত। এরফলে পর্যটকদের টিকিট সংগ্রহের টিকিটের জন্য লাটাগুড়িতে ভোর থেকে লাইন দিতে হোত। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবী ছিল লাটাগুড়ি ছাড়া মূর্তি থেকেও জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের। সেই দাবী ও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আজ থেকে জঙ্গলে বন্যপ্রান দর্শনের জন্য টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে মূর্তিতে। এদিন যাত্রাপ্রসাদ টাওয়ারে যাওয়ার জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছে। এরফলে খুশি পর্যটকেরা। হাতেগোনা কিছু পর্যটক এদিন গরুমারা জঙ্গলের যাত্রাপ্রসাদে গেলেও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশাবাদি পুজোর সময় প্রচুর পর্যটক আসবেন ডুয়ার্সের জঙ্গলে। সেই সঙ্গে লাটাগুড়ি ছাড়াও একাধিক কেন্দ্র থেকে জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট দেওয়া শুরু হওয়ায় মূর্তি পর্যটন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে বনদফতরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সামিম।