নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়িঃপ্রবল বৃষ্টিতে করলা ও তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত হল জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক জায়গা।সমস্যায় প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। করলা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনী, নেতাজীপাড়া,১ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনী, এছাড়াও জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও করলা নদীর জল প্রবেশ করেছে । পাশাপাশি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে সুকান্ত নগর, সারদাপল্লী সহ বিভিন্ন জায়গা। তিস্তার অ-সংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
গতকাল জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৪৫.৪০মিলিমিটার এছাড়াও মালবাজারে বৃষ্টি হয়েছে ২৯০.৬০মিলিমিটার। প্রবল বৃষ্টির কারনে জল বেড়েছে জেলার সমস্ত নদীগুলিতে।ভয়ঙ্কর অবস্থা জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদী ও শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর।করলা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। জল ঢুকেছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বহিবিভাগে। এছাড়াও শহরের নেতাজীপাড়া, পরেশমিত্র কলোনী, ইন্দিরা কলোনী,৪নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত জলপাইগুড়ির সব থেকে বড় বাজার দিন বাজার সহ বিভিন্ন জায়গাতে। শুধুমাত্র করলা নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১২০০মানুষ।সকাল থেকে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে এই এলাকাগুলিতে।দিনবাজারে জল প্রবেশ করায় বাজারের মাছের দোকান সহ বিভিন্ন দোকান নিয়ে রাস্তায় এসেছে ব্যবসায়ীরা। তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত হয় বিভিন্ন অঞ্চল। এলাকার সুকান্তনগর, সারদাপল্লী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা প্রান বাচাতে আশ্রয় নিয়েছে তিস্তার বাধের উপর।তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ ভারত বাংলাদেশ সিমান্ত পর্যন্ত তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি করেছে জেলা সেচদপ্তর। আজ দুপুর নাগাদ জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও সদস্যরা প্লাবিত এলাকায় যান পরির্দশনে। পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে।যদিও সাধারণ মানুষদের দাবি তারা সরকারি কিছুই সুযোগ সুবিধা পায়নি। এছাড়াও প্রচুর মানুষ এখনো তাদের নিজেদের বাড়িতে আটকে রয়েছে।