নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়ি পুর সভা এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনায় আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে প্রতিদিনই। এই পরিস্থিতিতে শহর শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি বাজার আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সেই সঙ্গে শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে অনেকটা এলাকা নিয়ে কনটেনমেন্ট জোন করার কথাও এদিন জানান পর্যটনমন্ত্রী।
শিলিগুড়ি পুর সভা এলাকার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও, পুর সভার চম্পাসারি এলাকার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবং টিকিয়া পাড়া এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেশী। করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৪৬ নম্বরে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই করোনা প্রতিরোধে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি বড় কন্টেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পুর সভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়া পাড়া এলাকায় একটি বড় কন্টেনমেন্ট জোন করার পাশাপাশি একাধিক ছোট ছোট কন্টেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সংক্রমণ ঠেকাতে শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমণের হারের কথা চিন্তা করে বাজারগুলিকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি পুর সভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সবজি বাজার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়া পাড়া বাজার এবং টিকিয়াপাড়া হাট আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুর সভার সংযোজিত এলাকার বেশ কয়েকটি হাট এবং বাজার বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ঘোঘোমালি বাজার, হায়দরপাড়া বাজার, একটিয়াশাল বাজারও আগামী ৫ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। অপরদিকে গুরুং বস্তি বাজার আরও কদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।