নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ২৪ জুনঃ উদ্বেগ বাড়িয়ে শিলিগুড়িতে করোনায় মৃত্যু হল ৪ জনের। এদের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সাহুডাঙ্গি এলাকার ৬০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বুধবার সকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতাল ডিসানে মারা যান। আবার বুধবার দুপুরে ডিসানেই মারা গিয়েছেন শিলিগুড়ি পুর সভার খালপাড়া এলাকার ৪৪ বছর বয়সী এক বাসিন্দা । ওই বাসিন্দা শিলিগুড়ি প্রধান নগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। তার স্যোয়াব টেস্ট রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে ডিসানে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের রিকু বিভাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বুধবার। তাদের স্যোয়াব সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের ভি আর ডি এল-এ পাঠানো হয়। রাতে তাদের স্যোয়াব টেস্ট রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ এসেছে। মৃতদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক মহিলা শিলিগুড়ি পুর সভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাসারি সংলগ্ন সত্যজিৎ নগরের বাসিন্দা। অপর মৃত ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি মহকুমায় বুধবার নতুন করে ৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩২ জনই শিলিগুড়ি পুর সভা এলাকার বাসিন্দা। লাফিয়ে লাফিয়ে পুর সভা এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে চলায় শহরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পুর সভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে করোনায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় চম্পাসারি মার্কেট খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায় নি। অপরদিকে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের মাছবাজার আগামী ২৫ জুন এবং সবজি ও ফল বাজার আগামী ২৮ জুন খোলার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে দুটি পাইকারি বাজারই ২৯ জুন খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরের অন্যাতম বিধান মার্কেটও।করোনায় প্রতিদিনই একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন দুই কোভডি হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে মৃত্যু ঠেকানো যায়, সেই নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন উত্তরবঙ্গে কোভিডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক ডঃ সুশান্ত রায়। জেলা শাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে।
অপরদিকে, কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বুধবার অনেকটাই ভালো রয়েছেন শিলিগুড়ি পুর সভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য্য। তাকে দেওয়া অক্সিজেনের মাত্রা কমানো হয়েছে। শরীরে জ্বর নেই অশোকবাবুর। বুধবারও, তাকে ওরাল ফুড দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।