নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ ভূমিকম্প কেন হয়,কেন বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ভূমিকম্প ,তা নিয়ে পৃথিবী জুড়ে চলছে বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণা।এখনও সঠিকভাবে বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারেননি।তবে বর্তমান বিশ্বে ভূমিকম্প যেভাবে সভ্যতা ধ্বংস করছে,তা পৃথিবীর কাছে বড় হুমকি সন্দেহ নেই।আর এরমধেই শিলিগুড়ি শহরের এক প্রান্তে দিনরাত এক বৃদ্ধ ভূমিকম্প নিয়ে সাধনায় মেতে আছেন। তার বয়স হয়েছে ৬৬ বছর।এরমধ্যে ৪৮ বছরই তার কেটে গিয়েছে ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করায়।শিলিগুড়ি সুকান্ত নগরে তার বাড়ি।নাম জয়দেব ধর।পেশায় তিনি সামান্য ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ।কিন্তু তার নেশা ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করা।
একসময় বার্মায় থাকতেন।সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হোত।আর তখন তারমধ্যে আরও বেশি করে ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহ চেপে বসে।আজও চলছে তার এ কাজের নেশা।এমনই ব্যতিক্রমী তার এ নেশা যে,নিজের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না হলেও যা অর্থ রোজগার করেন তার কিছু অংশ এ কাজে ব্যয় করেন।এমনকি এই বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক কিছু সমস্যার কারনে তার নিয়মিত ওষুধ সেবন করা দরকার। অথচ সেদিকে তার ধ্যান কম। সবসময় পড়ে আছেন ভূমিকম্প নিয়ে।তার বাড়ির মাটির নীচে অনেক তার তিনি প্রবেশ করিয়েছেন।আবার বাতাস থেকে তারের সাহায্যে নিচ্ছেন কিছু সিগন্যাল ।সব কম্পাঙ্ক আর সিগন্যাল গিয়ে মিশছে তার ঘরের মধে থাকা কিছু যন্ত্রে।সেখানে আছে কয়েকটি গ্লোব।আর সেসব নিয়েই তার সাধনা এবং যত অঙ্ক। বছরের পর বছর ধরে চলছে তার এই আজব নেশা।সম্প্রতি এক লাখ টাকা খরচ করেছেন তার মেশিন আরও চাঙ্গা করতে।বললেন,ভূমিকম্প হওয়ার ষাট ঘন্টা আগে নিখুঁতভাবে ভূমিকম্প পূর্বাভাস ধরতে এখন ডিজিটাল মেশিন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু কেন এই নেশা,তার জবাব, সবাই একদিন চলে যাবে ।যাওয়ার আগে পৃথিবীর মানুষের অন্যতম আতঙ্কের কারন এই ভূমিকম্প নিয়ে কিছু সত্য বা তথ্য জানিয়ে যাওয়া। তার হিসাবে ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীতে বেড়েছে ভূমিকম্পের পরিমান। যদিও চলতি বছরে ভূমিকম্পের সংখ্যা একটু কমেছে। তিনি আরও জানাচ্ছেন,বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছে।প্রকৃতিও পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছে। গাছ কেটে আমরা সাফ করে দিচ্ছি। একের পর এক পরমানু পরীক্ষা চলছে। প্রকৃতিতে আমরা অনবরত বিষ ঢেলে চললে প্রকৃতি কি আমাদের ছেড়ে দেবে? চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রবিদ্যুতে বহু প্রানহানি ঘটেছে।তা নিয়ে চিন্তিত দেশের সরকার।শুরু হয়েছে গবেষণা ।আর এনিয়েও স্পষ্ট কথা জয়দেববাবুর, আগামীদিনে বজ্রবিদ্যুত আরও বাড়বে।এর মূলেও প্রকৃতির ওপর মানুষের অনাচার ও অত্যাচার।প্রকৃতি আজ হুঙ্কার ছাড়ছে ,মানুষকে সতর্ক করছে। মানুষ সতর্ক না হলে সামনে আরও বড় বিপদ আসছে।