নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ধারাবাহিকভাবে সামাজিক সচেতনতার সঙ্গীত রচনা করায় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপি ঘোষের নাম উঠলো। শনিবার বাপিবাবু ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে শংসাপত্র, ব্যাজ, কলম। মেডেল প্রভৃতি উপহার হিসাবে পেয়েছেন।
বাপিবাবু তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য প্রথমেই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন পত্রিকার সহসম্পাদিকা শিল্পী পালিতের প্রতি। শিল্পীদেবীই প্রথম বাপিবাবুকে এই ধরনের সঙ্গীত রচনায় প্রেরনা দেন। প্রথমে রচনা করা হয় ডেঙ্গু সচেতনতার সঙ্গীত। তারপর কন্যা ভ্রুন হত্যা, নারী ও শিশু পাচার, বৃক্ষরোপন, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দূষন, শৌচালয় নির্মান, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, মাতৃ দুগ্ধ সচেতনতা সহ বহ গান। বাংলা ভাষায় এই প্রথম অল্প সময়ের মধ্যে পরপর ২৯টি সঙ্গীত রচনার জন্য এই স্বীকৃতি এলো। যদিও শিল্পীদেবীর সুরে আরও কিছু সঙ্গীত রচনা করেছেন বাপিবাবু। শনিবারও করোনা ভাইরাস সচেতনতার ওপর একটি সঙ্গীত বাপিবাবুর রচনায় শিল্পীদেবী সুর করেছেন।
এই সব সঙ্গীত রচনায় যন্ত্র সঙ্গীতে সহযোগিতা করেছেন সুপ্রিয় ব্যানার্জী। অডিও এডিটিং করেছেন দেবাশিস রায়। ভিডিও এডিটিং করেছেন বিকি সাহা ও সঞ্জয় বিশ্বাস। বাপিবাবু তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত ওই সব সঙ্গীতগুলোই দর্শক শ্রোতাদের জন্য খবরের ঘন্টার ইউ টিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছে। শিল্পীদেবী এবং তাঁর স্বামী কাঞ্চন পালিত বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওইসব সঙ্গীত প্রচারে যেভাবে সহায়তা করেছেন তা কখনোই ভোলার নয় বলে বাপিবাবু তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নিকট আত্মীয় নকশালবাড়ি হাসপাতালের দন্ত চিকিৎসক ডাঃ ভাস্কর ভট্টাচার্য, খবরের ঘন্টার শুভাকাঙ্ক্ষী চিত্রা ব্যানার্জীর স্বামী তথা হুগলির কোন্ননগর পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সঞ্জীত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক সচেতনতার ওই গানগুলো শুনে বাপিবাবুকে যেভাবে শংসাপত্র দিয়েছেন তারজন্যও বাপিবাবু তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এই সময় পত্রিকার বিশিষ্ট সাংবাদিক চিত্রদীপ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়,তরুন মাইতি, খবরের ঘন্টার সমস্ত উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মৃনাল পাল, নির্মল কুমার পাল, শ্যামল কুমার সরকার, ডাঃ সুবল দত্ত, ডাঃ জি বি দাস, ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল, বঙ্গরত্ন ভারতী ঘোষ, রাজ বসু, দীপজ্যোতি চক্রবর্তী, লেখক গৌরিশঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখের প্রতিও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাপিবাবু। আপদেবিপদে সাংবাদিকভাই চিত্রদীপ, সোমনাথদার প্রেরনা,শিল্পীদেবীর পরামর্শকেও কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরন করেছেন খবরের ঘন্টার সম্পাদক। সর্বোপরি খবরের ঘন্টার সমস্ত দর্শক, পাঠক, শ্রোতাদের সহযোগিতা এবং উৎসাহ না পেলে একাজ সম্ভব হোত না বলে বাপিবাবু জানিয়েছেন। বাপিবাবুকে প্রথম যিনি সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করিয়ে লেখালেখির তালিম দেন সেই প্রতিভাবান সাংবাদিক তুষার প্রধান ওরফে মনোজ রাউতকেও প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাপিবাবু। সবশেষে তিনি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সঙ্গীতগুলো শুনে সমাজের যত ভালো হয় ততই মঙ্গল।
( ছবি তুলে সহায়তা করে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ও সম্পাদকের জীবনসঙ্গিনী পাঁপড়ি ঘোষ)