নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই সতর্কতা শুরু হয়েছে। আর এই সতর্কতার প্রভাব এবার এসে পড়লো দার্জিলিং পাহাড়ের সিনেমা শ্যুটিংয়েও।
সোমবার কলকাতা থেকে অভিনেত্রী অর্পিতা চ্যাটার্জী, সাহেব চ্যাটার্জী, আবীর চ্যাটার্জী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, অভিষেক ব্যানার্জী সহ আরও অনেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। ১৭, ১৮, ১৯ মার্চ তাদের বিশেষ শ্যুটিংয়ের কথা ছিলো দার্জিলিং পাহাড়ের মরগ্যান হাউস, তাকদা এবং তার আশপাশে। সিনেমার নাম আবার বছর কুড়ি পরে। সিনেমার পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত। পি এস এস প্রোডাকশনের এই ছবির শ্যুটিং পাহাড়ে কদিন ধরেই হওয়ার কথা ছিলো। সিনেমায় অভিনেতা, অভিনেত্রী সহ অন্য কলাকুশলী মিলে শ’খানেক মানুষ কাজে নামছিলেন। কালিম্পংয়েও পৌঁছে গিয়েছিলেন একদল কলাকুশলী। শ্যুটিংয়ের পুরো প্রস্তুতির মধ্যে বিপত্তি ঘটালো করোনা। না, কলাকুশলী বা অভিনেতাঅভিনেত্রীদের মধ্যে কেও করোনায় আক্রান্ত হননি। কিন্তু সতর্কতার জেরেই তাদের শ্যুটিং আপাতত স্থগিত রাখতে হলো।
উত্তরবঙ্গের ফিল্ম ট্যুরিজমের অনন্য নাম বাবলু ব্যানার্জী। মুভি ক্রাফট মিডিয়ার মাধ্যমে লাইন প্রডিউসার হিসাবে বাবলুবাবু এখন রাজ্যের ফিল্মি দুনিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম। উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী, জঙ্গলকে কাজে লাগিয়ে ধারাবাহিকভাবে যে বিভিন্ন সিনেমার শ্যুটিং হয়ে আসছিল তার জন্য হোটেল বুকিং, শ্যুটিং স্পট ঠিক করা, গাড়ি ঠিক করা সহ অন্য অনেক কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে আসছিলেন বাবলুবাবু এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি ব্যানার্জী। এই সিনেমা ট্যুরিজমের মাধ্যমে বহু বেকারের কর্মসংস্থানও হয়ে আসছে। কিন্ত এবারে সব প্রস্তুতি সাঙ্গ হয়ে যাওয়ার পরও করোনা সতর্কতার জেরে অভিনেতাঅভিনেত্রী সহ কলাকুশলীরা কেও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বলে সোমবার বাবলুবাবু জানিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের জন্য শিলিগুড়ি নেমেও কলকাতায় ফিরে যাচ্ছেন অর্পিত চ্যাটার্জীরা। বাবলুবাবু বলেন, করোনার বর্তমান জরুরি পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আবার পুরোদমে তাঁরা কাজে নামবেন।