শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথা বিভাগে সঙ্গীত শিল্পী রুমা বনিকের কথা মেলে ধরা হচ্ছে —
আমি শ্রীমতি রুমা বণিক। গানই আমার প্রাণ। সেই ছোট্ট বেলা থেকে শুরু এই ভালবাসা। মা বাবার অনুপ্রেরণাতেই পথ চলা শুরু। বাবা শ্রীযুক্ত সত্যরঞ্জন বনিক একজন ব্যবসায়ী, মা ঝর্ণা বনিক।তিন ভাই বোন ছাড়াও যৌথ পরিবারে বড় হয়ে ওঠা। পরিবারের অনেকেই গান বাজনা করেন।
এই শহরেই জন্ম ও স্কুল কলেজ ইত্যাদি। আমার দাদা একজন বেহালা শিল্পী।
সঙ্গীত শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল কানন কর্মকার মহাশয়ের কাছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার পাশাপাশি রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখার সুযোগ ঘটেছিল মিন্টু রায় মহাশয়ের কাছে। তারপর পুলিন সাহার ( নকসালবাড়ি ) কাছে নজরুল গীতি শেখার সুযোগ ঘটেছিল।
এরপর শ্রীমতি মৌসুমী দাসগুপ্তের কাছে আধুনিক বাংলা গান শেখা। এর পর যার কথা বলা বিশেষ প্রয়োজন তিনি শ্রীমতী দেবিকা গুহ। ওনার কাছে শাস্ত্রীয় সংগীত, রাগ প্রধান, ভজন ও অতুল প্রসাদী গান শেখার সৌভাগ্য হয়। গান বাজনার ক্ষেত্রে আমার স্বামী জীবন বনিক আমাকে অত্যন্ত উৎসাহিত করেন। তাছাড়াও আর একজন মানুষের নাম করবো, তিনি নিখিল রঞ্জন সরকার,আমার কাকু, তার কাছে পুরোনো দিনের গান শেখা।
এবার আসি আমার সঙ্গীতানুষ্ঠানের কথায়। আমি শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, যেমন উত্তরবঙ্গ উৎসব, পৌষ মেলা এছাড়া স্থানীয় চ্যানেল সি সি এন এ নিয়মিত অনুষ্ঠান করে থাকি। আকাশবাণীর অনুষ্ঠান ‘লহরী’ তে সঙ্গীত পরিবেশন করেছি।
আরো অনেক কিছু শিখতে চাই এই আমার সংকল্প। ভবিষ্যতে যেন আরো ভালো ভালো গান গাইতে পারি এই আমার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা