শিল্পী পালিত ঃ সকলকে শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০২০ সালের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আপনাদের কাছে আবেদন, নতুন বছরে আরও বেশি বেশি করে খবরের ঘন্টার ফেস বুক পেজ ও এই পোর্টালের বিভিন্ন পোস্ট লাইক, শেয়ার করে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন। আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে কোন্নগরের মিতাদেবীর পুত্রের অসামান্য প্রতিভার কথা পড়ুন —
আমি মিতা মিত্র।একজন গৃহবধূ।থাকি কোন্নগর।আমি একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলের মা।আমি আমার ছেলের সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করছি।আমার ছেলে ডাউন সিনড্রোম হওয়ার কারণে তার অনেক সমস্যা আছে।তার জন্ম 2001সালের20শে এপ্রিল।সে অনেক দেরিতে সব কিছু আস্তে আস্তে শেখে।প্রায় ছয় বছর বয়সে একটু একটু করে কথা বলা শুরু করে।এখনো তার কথা বলার অনেক অসুবিধা আছে।তাকে চার বছর বয়সে শ্রীরামপুর ‘চাইল্ড গাইডেন্স সেন্টার’ নামে একটি বিশেষ স্কুলে ভর্তি করা হয়।সেই থেকে লড়াই শুরু হয়।ওকে নানা ভাবে নানা জিনিস শেখাতে শুরু করি।এই সময় দেখি যে ও যোগাসনের ভঙ্গিমায় শুয়ে, বসে থাকছে, তাতে ওর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।সেই দেখে ওকে যোগাসন শেখানো শুরু করি।তখন ও পাঁচ বছরের ছেলে।তারপর ওর যখন বারো বছর বয়েস তখন ও আস্তে আস্তে বিভিন্ন জায়গায় যোগাসন প্রতিযোগিতায় যেতে থাকে। ও বাংলার হয়ে, জেলার হয়ে, এমনকি একবার ন্যাশানালের হয়েও যোগাসন প্রতিযোগিতায় গেছে।বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় ও পুরস্কারও পেয়েছে।বতর্মানে সে ভদ্রেশ্বরে ‘সেলটার’ নামে একটি বিশেষ স্কুলে পড়ে।সেখানে বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ শেখে।আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই গান শুনতে খুব ভালোবাসে তাই এখন সে বিভিন্ন ধরনের বাজনা বাজানো শিখতে শুরু করেছে।এখন ও উনিশ বছরের তরুণ । এখন ও বাড়ির লোকের সহযোগিতার দ্বারা নিজের কাজ নিজে করতে পারে।এদের পাশে থেকে ভালোবেসে আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলে এরাও এগোতে পারে।আমার ছেলে সব্যসাচী মিত্র নিজের ইচ্ছে শক্তির দ্বারা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে।সব্যসাচীর বাবা শ্রীযুক্ত প্রিয়বন্ধু মিত্র ছেলের এই লড়াইয়ে সবসময় ছেলের পাশে থাকে এবং তাকে সাহায্য করতে থাকে।বাবা হচ্ছে সব্যসাচীর সবচেয়ে ভালো বন্ধু।সকলের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদে সব্যসাচী মিত্র যেন এইভাবে এগিয়ে যেতে পারে।আমি ফেসবুককে অনেক ধন্যবাদ জানালাম।ফেসবুক থেকেই বীণাপাণিদির সাথে পরিচয় এবং ওনার কথাতেই আমার ছেলেকে এই ভাবে মেলেধরা।বীণাপাণিদির প্রতি অনেক ভালোবাসা রইল।যিনি সব্যসাচী মিত্রর মত ছেলেদের পাশে আছেন, সাথে আছেন।সকলকে অনেক ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা জানালাম।সকলে ভালো থাকবেন।নমস্কার।