নিজস্ব প্রতিবেদনঃ মানুষের পেটের মধ্যে রয়েছে একরকম উপকারী ব্যাকটেরিয়া। সেই ব্যাকটেরিয়া গাট মাইক্রোবিয়ম রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু আজকাল সবাই এত ফার্স্ট ফুড গ্রহণ করছে যে পেটের মধ্যেকার সেই উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এনিয়ে গবেষণা করে আরও আধুনিক ওষুধ বের করতে তৎপর।
আগামী ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর কলকাতায় পেটের রোগের ওপর এক সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। এশিয়ান পেসিফিক ডায়জেস্টিভ উইক। তাতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের গ্যাসট্রোএনটোলজিস্ট এবং অন্য অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসক যোগ দিতে চলেছেন। সেই সম্মেলনের একটি পর্বে আলোচনাসভা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করতে চলেছেন শিলিগুড়ির বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল। ডাঃ পাল জানিয়েছেন, ফার্স্ট ফুড গ্রহনের জেরে পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া কিভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং তার ফলে সুগার কিভাবে বাড়ছে, এর ওষুধইবা কি, আধুনিক গবেষণা কি বলছে তার কিছু দিকও জানা যাবে ওই সম্মেলনের আলোচনায়। পেটের সেই উপকারী ব্যাকটেরিয়া সুগার প্রতিরোধে অনেকটা সাহায্য করে। অত্যধিক ফার্স্ট ফুড গ্রহণ এবং প্রকৃতির দূষণ তাই আজ চিন্তার বিষয়। তাই প্রকৃতিজাত শাকসবজি গ্রহনে সকলের বেশি নজর দেওয়া দরকার বলে ডাক্তার পাল জানিয়েছেন।
এদিকে শুধু কলকাতার এই আন্তর্জাতিক আলোচনাই নয়, সম্প্রতি দিল্লি ও জয়পুরে পরপর দুটি জাতীয় সেমিনারের কিছু আলোচনা সভা পরিচালনা করে এসেছেন ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল। এই দুটি সেমিনারের একটিতে ডায়াবেটিস, অন্যটিতে হার্ট নিয়ে আলোচনা হয়। বহু চিকিৎসকের মধ্যে অনেকের নজর কাড়েন ডাক্তার পাল। তার আগে সাউথ কোরিয়ার বুসানে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক সম্মেলনে যোগ দেন ডাক্তার পাল। অন্যদিকে মুম্বাইতে ফেলো অফ ইউরো এশিয়ান একাডেমি অফ কার্ডিওলজিতে যোগ দিয়ে শংসাপত্র পেয়েছেন তিনি। ডাক্তার পাল বলেছেন, পরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে যোগ দেওয়ায় তিনি শিলিগুড়িতে অনেক রোগী দেখতে পারেননি। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনদিকে এগোচ্ছে, সর্বশেষ কোন রোগের জন্য কোন ওষুধটি এলো তা জানতে ওইসব সম্মেলনের আলোচনায় যোগ দেওয়া খুব জরুরি ছিল। কলকাতায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেটের রোগের ওপর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর আপাতত আর তার কোনও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি নেই। তারপর আবর মন দিয়ে রোগী দেখা ও সামাজিক কাজে তিনি মনোনিবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।