শিল্পী পালিত ঃঃ আমাদের খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপিদা বলেছিলেন, খবরের ঘন্টার নিউজ পোর্টালে আত্মকথা বিভাগ খুলতে। তা শুরু হয়েছে। ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে দিকে দিকে খবরের ঘন্টা ছড়িয়ে পড়ছে জেনে ভালো লাগছে। আপনারা সবাই খবরের ঘন্টার সঙ্গে থাকুন। আজ আত্মকথা বিভাগে বাংলাদেশ চট্টগ্রামের পার্থপ্রতিম দাসের কথা মেলে ধরা হচ্ছে। —
—–আমার নাম পার্থপ্রতিম দাশ(রিপন)। জন্ম ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর। আমার পিতা ছিলেন শিক্ষক, স্বর্গীয় কাঙ্গাল চন্দ্র দাশ। মা শ্রীমতী গীতাশ্রী দাশ একজন গৃহিণী ।
আমি ছোটবেলায় একদম লেখাপড়া করতে চাইতাম না।
সংগীত চর্চা ও খেলাধুলাতেই আমার মনোনিবেশ ছিল বেশি ৷ আমি বি,এ/ডি এ এম এস(ঢাকা)/(আয়ুর্বেদিক কোর্স) করেছি। আমার নিজের ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান”ঝুমকা তবলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে”ছাত্র ছাত্রছাত্রীদের সাথে তবলা সঙ্গত করি ৷ ফুটবল খেলতে খুব ভালবাসি। ১৯৮৯সালে চট্টগ্রামে প্রথম বিভাগে বিভিন্ন ম্যাচে খেলায় অংশগ্রহণ করি। চট্টল ইয়ুথ কয়ার,চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি,বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও ক্লাবের লাইভ প্রোগ্রামে বিভিন্ন শিল্পীর সাথে বহুবার তবলা সঙ্গত করেছি আমি৷ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে রাউজান প্রশাসন দুবার শ্রেষ্ঠ সন্মান দিয়েছে আমায়। গান শুনতে ও সংগীত শিল্পীদের সাথে তবলা সঙ্গত করতে আমার ভীষন ভালো লাগে। বর্তমান জীবনে আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত আছি। পাশাপাশি নিজ প্রতিষ্ঠান ঝুমকা তবলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সময় কাটাতে আমার খুব ভাল লাগে। আমার ভবিষ্যতে একটি তবলা একাডেমি করার ইচ্ছে আছে যেখানে নিজ এলাকা ছাড়াও বাইরের ছেলে মেয়েরা স্বল্প খরচে সংস্কৃতি চর্চ্চা করতে পারবে। আমার দুই মেয়ে। ওরা দুই জনই সংগীত ও নৃত্য শিল্পী। আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা ৷ বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে বিঞ্জান বিভাগে অধ্যয়ণরত। পাশাপাশি ও সবসময়ই সংস্কৃতি চর্চ্চায় ব্যস্ত থাকে (সংগীত,নৃত্য)। ছোট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত। পড়াশোনার পাশাপাশি সেও সংস্কৃতি চর্চ্চায় সদা ব্যস্ত থাকে (সংগীত,নৃত্য,গীতা)। এই হল আমার সংক্ষিপ্ত জীবন।