শিল্পী পালিত ঃ আজ আমরা মেলে ধরছি শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ার চম্পা রায়চৌধুরীর কথা। তিনি একজন সঙ্গীত শিল্পী। গানকে তিনি প্রচন্ড ভালোবাসেন। তিনি নিজেই তার সব কথা জানিয়েছেন। আসুন তার কথা একটু পড়ে নিই—-
—গান আমার ভালোবাসা৷ভালোবাসা সবসময় মানুষকে কাঁদায়৷কেন?একান্নবর্ত্তী পরিবারে আটের দশকে গান করা সব পরিবারে সম্ভব ছিলো না৷আমার মা ভীষণ ভালো গান গাইতেন৷তাই আমার ভিতর সুর জন্ম থেকেই পাওয়া৷কথা শেখার আগেই আবোল,তাবোল সুরে গাইতাম৷মা মালতী গুহ অনুধাবন করেছিলেন হয়ত নিজের অপূর্ণ প্রতিভাকে সন্তানের মধ্য দিয়ে পূরন করবেন৷বাবা অজিত গুহও তাই চেয়েছিলেন৷তাই মা রোজ সন্ধ্যা আরতির সময় আমাদের নিয়ে ভজন গাইতেন ৷এই ভাবেই আমার সঙ্গীত শিক্ষা অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত চলল৷আমার বড়দা দীপক গুহ “শ্রী মঙ্গল দুবের কাছে শিখবার সুযোগ করে দেন৷বড়দার জন্যই গানের স্বরগমের ভিত তৈরী হয়৷ছয়,সাত মাস পর তিনি কর্মসূত্রে বদলি হয়ে গেলে আমার গানও আমাকে ছেড়ে চলে যায়৷রক্ষণশীল পরিবারে থেকে বাইরে গিয়ে গান শেখা বা করার স্বপ্ন হারিয়ে গেল৷
পড়াশোনা,সংসার,সন্তান পালন এই করে জীবনের ছাব্বিশটি বছর অতিবাহিত হলো৷নিজের অজান্তেই গেয়ে উঠতাম৷আর ভালোবাসা ফিরে পাবার আশায় আড়ালে কাঁদতাম৷ছেলে স্নিগ্ধদেব সাবলম্বি হওয়ার পর সে আর তারা বাবা শৈবাল রায় চৌধুরীর অনুপ্রেরনায় জেগে ওঠে সুপ্ত ভালোবাসা৷কিছুদিন বর্নালী বসু ও পরে অলিপ সাহার কাছে শিক্ষা গ্রহন করি৷নিজে কতটা পারবো এতো বছর পর এই ভেবে নজরুল গীতির 2nd year পরীক্ষায়distinction পাই। তাতে আমার উৎসাহ বেড়ে যায়৷এরপর zee Bangla সা রে গা মা তে অডিসনে 2nd round এ যাই৷একটি টি.ভি চ্যানেলে লোকসঙ্গিত অডিসনেও চান্স পেয়েছিলাম৷হয়তো কিছুই না, তবু আমার মনোবল বাড়ার জন্য বিশাল প্রেরনা৷এরপর “শ্রী বিপ্লব মূর্খাজীর কাছে শেখার সুযোগ পাই ৷ এই ভাবেই চলছে আমার সাধনা৷
বর্ত্তমানে শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়া শাখার পাঠভবন স্কুলে ছোটো ছোটো শিশুদের গান শেখাবার সুযোগ পেয়ে নিজের অর্পূনতা পূর্ণ করার চেষ্টায় আছি৷