শিব লিঙ্গে কেন এতো দুধ? দুধ কি ভেজাল মুক্ত? এতো দুধ অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের দিলে কি প্রকৃত শিব সেবা হোত না?

নিজস্ব প্রতিবেদন : পৌরাণিক কাহিনীতে কথিত রয়েছে একবার সমুদ্র মন্থনে সমুদ্র থেকে প্রচুর ধনরত্ন সঙ্গে অনেক বিষও উঠে আসে।কিন্তু সেই সব বিষ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ছিলো।কিন্তু কোনো দেবতা সেই বিষ পান করতে রাজি ছিলেন না।তখন এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে দেবাদিদেব মহাদেব সেই গরল বা বিষ পান করে নিজের কন্ঠে ধারন করেন।কিন্তু সব বিষ নিজের কন্ঠে ধারন করায় তাঁর নিজের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বিষের সেই জ্বালা থেকে শিবকে বাঁচাতে দেবী তারা প্রকট হয়ে শিবকে স্তন্য পান করান।
সেই বিশ্বাস থেকে শিবের বিষ জ্বালা কমাতে শিব ভক্তরা শিবের মাথায় দুধ ঢেলে আসছেন।আবার আধ্যাত্মিক অনেক সাধক বলেন,শিব লিঙ্গ প্রকৃতি পরিবেশ থেকে নেগেটিভ এনার্জি সংগ্রহ করে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে।কিন্তু অতিরিক্ত নেগেটিভ এনার্জি সংগ্রহের জেরে শিব লিঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই সেই লিঙ্গের তাপমাত্রা কমাতে বা ভারসাম্য বজায় রাখতে শিব লিঙ্গে জল বা দুধ ঢালা হয়। প্রথা মেনে শুক্রবার রাত থেকে শিব রাত্রি উপলক্ষে বিভিন্ন শিব মন্দিরে ভক্তরা জল ও দুধ ঢালেন। শনিবারও সেই দুধ ও জল ঢালার ব্যস্ততা দেখা যায়। শিলিগুড়ি ইসকনের শিব মন্দিরেও শনিবার শিব লিঙ্গে জল ও দুধ ঢালার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেন তাঁরা দুধ ও জল ঢালছেন শিব লিঙ্গে তার ব্যাখা অনেক ভক্ত উল্লেখ করতে পারেন নি। তবে দুধ কতটা ভেজাল মুক্ত তাঁর সঠিক উত্তরও পাওয়া যায় নি।কিন্তু এতো দুধ শিব লিঙ্গে না ঢেলে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু বা অপুষ্টিতে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করলে কি প্রকৃত অর্থে শিব সেবা হোত না? এ প্রশ্নও অনেকের মধ্যে উঠে আসে।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন: