নিজস্ব প্রতিবেদন : মা সারদা বলেছেন,”সৎ সঙ্গে মেশো, ভালো হতে চেষ্টা করো,ক্রমে সব হবে। ” মা সারদাদেবী আরও বলেছেন,”সন্তোষের সমান ধন নেই, আর সহ্যের সমান গুন নেই। ” শ্রী শ্রী সারদা মা আরও বলেছেন, ” ভাঙতে সবাই পারে,গড়তে পারে কজন? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সবাই, কিন্তু তাকে ভালো করতে পারে কজনে?” শ্রী শ্রী সারদা মা এর এইসব অমৃতবাণী এবং তাঁর জীবন দর্শনকে সামনে রেখে ২৯শে ডিসেম্বর শুক্রবার শিলিগুড়ি দুই মাইল সেবক রোডে অবস্থিত সারদা শিশু তীর্থে মাতৃ দিবস পালিত হয়।শিশুর বিকাশে মায়েদের অবদান বিরাট। মায়েরা কিভাবে তাদের শিশু সন্তানকে শিক্ষা দেবে যাতে আজকের শিশু আগামীদিনের একজন ভালো মানুষ তৈরি হতে পারে। এদিন সেখানে ২৮তম মাতৃ দিবস সাড়ম্বরে পালিত হয়। আর সেই অনুষ্ঠান ছিলো বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ডঃ গৌতম কুমার বিশ্বাস, সম্পাদক পবন কুমার নকীপুরিয়া, সহ সম্পাদক তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ও আইনজীবী বিপ্লব সেনগুপ্ত,বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য কমলেশ সরকার, শ্যামল দত্ত, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যা তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা শীলা ঘোষ,শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অত্যুহা বাগচি,প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ এস বি মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী ডাঃ কবিতা মন্ত্রী, গুরুকুলের প্রধান শিক্ষক অরুনাংশু শর্মা,রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রান্ত প্রচারক শ্যামাচরন রায়,বিদ্যাভারতী উত্তরবঙ্গের সংগঠন সম্পাদক রমাকান্ত মহান্ত সহ বহু মায়েরা। শিলিগুড়ি কলেজের দর্শন শাস্ত্র বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা শীলা ঘোষ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভারতীয় দর্শন শাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে মায়েরা কিভাবে সন্তানকে সুনাগরিক করে তুলবে তার ওপর অপূর্ব কিছু আলোকপাত করেন।মা সারদার জীবন দর্শন থেকে শুরু করে রামায়ন, মহাভারতের বিভিন্ন দিক তিনি মেলে ধরেন। খারাপ বা নেতিবাচক দিক বর্জন করে ইতিবাচক মন নিয়ে মায়েরা কিভাবে সন্তানকে সুশিক্ষা দেবে তাঁর অপূর্ব কিছু ব্যাখা মেলে ধরেন শীলাদেবী।এই বার্ধক্যে পৌঁছেও আজও শিক্ষিকার ভূমিকায় শীলাদেবী যেন অনন্যা।অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধানাচার্য নির্ভয় কান্তি ঘোষও উপস্থিত ছিলেন। মায়েরা তাদের বিভিন্ন হাতের কাজ এদিন সেখানে আয়োজিত প্রদর্শনীতে মেলে ধরেন।মা সারদার আদর্শ নীতি ছাড়াও শিশুকে সঠিক শিক্ষা দিতে মায়েদের ভূমিকা, বর্তমান সময়ে সারদা শিশু তীর্থের প্রয়োজনীয়তা, শিশুকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার জন্য মায়েদের কেন শরীর স্বাস্থ্য ও মন ভালো রাখা প্রয়োজন তার ওপর সেই অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধানাচার্য বিমল কৃষ্ণ দাস,শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অত্যুহা বাগচি এবং চিকিৎসক মন্ত্রী দম্পতি। কিছু অঙ্কনও এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। সবমিলিয়ে সমাজের সর্বত্র সৎ পরিবেশ তৈরি এবং সৎ পরিবেশের মাধ্যমে সুস্থ সবল দেশ গঠনে মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা এই মাতৃ দিবসের অনুষ্ঠানে বারবার উঠে আসে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সংবর্তিকা ভৌমিক ও কিরণ রায়।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —