নিজস্ব প্রতিবেদন :দিনকে দিন তথ্য প্রযুক্তি এগিয়ে চলেছে। এখনকার সভ্যতা কার্যত শাসন করছে আই টি বিজ্ঞান। এরইমধ্যে চলে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সামনের দিনে বর্তমান আইটির বহু কিছুকে পিছনে ফেলে এ আইয়ের নতুন যুগ শুরু হতে চলেছে। আর সেই দিকে তাকিয়ে এবার শিলিগুড়িতে আই টি মেলার থিম করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শিলিগুড়ি আশ্রম পাড়ার রামকৃষ্ণ ময়দানে সেই আইটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে নর্থবেঙ্গল আইটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে। এই মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইটি ক্ষেত্রের ৮০টি ব্র্যান্ড সেখানে অংশ নেবে। এই আইটি মেলা উপলক্ষে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা এবং বিজ্ঞান মডেল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। সোমবার শিলিগুড়িতে নর্থবেঙ্গল আইটি ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের মেলার প্রধান শঙ্কর ধর, সভাপতি জ্ঞানাঙ্কুর দত্ত ওরফে পীযুষ ,সম্পাদক সুরেশ ভগত,কোষাধ্যক্ষ পঙ্কজ আগরওয়ালা প্রমূখ সাংবাদিক বৈঠকে ওই সব তথ্য দিয়েছেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক স্বপ্নেন্দু নন্দী এবং ক্যুইজের পরিচালক দিপ্তেন্দু তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, এই আইটি মেলার মাধ্যমে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হবে। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি করা হচ্ছে। বিজ্ঞান মডেলের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজন প্রতিভা বিকাশের দিকটি উসকে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ক্যুইজের মাধ্যমেও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হচ্ছে। এই মেলা এক নতুন দিশা দেখাবে বলে উদ্যোক্তাদের ধারণা।উত্তর পূর্ব ভারতে এই ধরনের মেলা সবচেয়ে বৃহত্তম আইটি মেলা। মেলাকে সফল করে তুলতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। উদ্যোক্তাদের তরফে শঙ্কর ধর বলেন, এখন মার্কেটের যা অবস্থা তাতে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। আগে ছিল ক্রেতারা দোকানে গিয়ে সব জিনিস দেখে বাছাই করে পছন্দমতে জিনিস কিনতেন। কিন্তু এখন অনলাইনের দৌলতে যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয় সেই দামেই জিনিস কিনছেন ক্রেতারা। এই আইটি মেলার মাধ্যমে এই অবস্থাকে পরিবর্তন করবার একটি চেষ্টাও হবে। প্রতিদিন সকাল এগারোটার পর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ এ আই বা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির নতুন নতুন সব পন্য এখানে মেলে ধরা হবে এবং তা বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :