
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ির চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক অবিস্মরণীয় উল্লেখ করার মতো ঘটনা ঘটলো। ৬৫ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষকের মহা ধমনীর একটা অংশ বেলুনের মতো ফুলে গিয়েছিল। যে কোনো দিন সেই বেলুনের মতো সেই অংশটি ফেটে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেই স্কুল শিক্ষকের জীবন সংশয় হতে পারতো। অতীতে এই ধরনের অপারেশন হোত বুক পেট ফালাফালা করে কাটার পর।আর সেই অপারেশনে সময় লাগতো নয় থেকে বারো ঘন্টা, রক্তের প্রয়োজন হোত পনের থেকে কুড়ি ইউনিট, অপারেশনের পর রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হোত ১৪ থেকে ১৫ দিন।তারপরও অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদির অনেক কিছু ভয় ছিলো।কিন্তু আজ চিকিৎসা প্রযুক্তির বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে যে সেই দীর্ঘ সময়ের অপারেশন সম্পন্ন হোল এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে। আর রোগীকে এরজন্য অতিরিক্ত কোনো রক্তও দেওয়ার প্রয়োজন হলো না।রোগীকে মাত্র দুদিনেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই সুফল কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে শিলিগুড়িতেই।জলপাইগুড়ি নিবাসী সোনাউল্লা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরঞ্জন সরকার শিলিগুড়ি সেবক রোডের আনন্দলোক মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে সেই আধুনিক চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে বেশ খুশিও। আগে এ ধরনের চিকিৎসার জন্য অনেকেই দক্ষিন ভারতে ছুটতেন। এখন শিলিগুড়িতেই কিন্তু আনন্দলোকের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাঃ অর্নব মাইতির নেতৃত্বে এই ধরনের আধুনিক পদ্ধতির কার্ডিয়াক সার্জারি বা কার্ডিয়াক ভাসকুলার সার্জারির অপারেশন হচ্ছে। ডাক্তার মাইতিরা এরজন্য আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন যা শিলিগুড়িতো বটেই উত্তর পূর্ব ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এক নতুন দিশা।ডাক্তার অর্ণব মাইতি, ডাক্তার তারাপদ দাস,ডাঃ এ কে খান্ডেলওয়াল,ডাঃ শ্রুতি ব্যানার্জীরা সোমবার আনন্দলোকে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওইসব বিষয় মেলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে বলেন,তাঁরা শিলিগুড়িতে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি এনে আধুনিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চিত্তরঞ্জন সরকারের এই অপারেশন কলকাতায় গিয়ে করালে যে খরচ নেওয়া হোত তার থেকে কুড়ি শতাংশ কম খরচে ওই অপারেশন হয়েছে শিলিগুড়ির আনন্দলোকে,এটিও একটি উল্লেখ করার মতো দিক বলে চিকিৎসকরা জানান।তাঁরা বলেন,বাইরে গিয়ে এই ধরনের চিকিৎসা করালে যাতায়াত, থাকাখাওয়ার সমস্যা, ভাষা সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন অসুবিধা রয়েছে। অথচ শিলিগুড়িতেই সেই চিকিৎসা করালে অনেক সুবিধা পাবেন রোগী সাধারণ।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-
