নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখে দেখতে পারে না এগারো বছরের শিশু অশোক বর্মন।ও চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে। বাড়ি শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ঢাকনাকলোনিতে।আর্থিক দিক থেকে খুবই অনগ্রসর দৃষ্টিহীন অশোক।ওর বাবা আনন্দ বর্মন সামান্য টোটো চালক। তবে টোটো চালক হলে হবে কি, সময় পেলেই সৎ সঙ্গ বা হরিনাম সঙ্কীর্তন করতে ভালোবাসেন আনন্দ বর্মন।আর বাবার সঙ্গে বিভিন্ন কীর্তনে যেতে যেতে এই বয়সেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শিশু প্রতিভা অশোক খোল,করতাল বাজানো শিখে নিয়েছে।ও শিখে নিয়েছে ভজন গানও।রাস পূর্নিমাকে সামনে রেখে এবং সুধাংশুবালা সারস্বত সংঘের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শনিবার শিলিগুড়ি সুভাষ পল্লীতে মা সুধাংশু বালা সারস্বত মহিলা সংঘ অশোকের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেয়।সেখানে কীর্তন অনুষ্ঠিত হলে খোল এবং করতাল বাজানোতে অংশ নেয় দৃষ্টিহীন এই শিশু।শৈশবেই দৃষ্টিহীন শিশুর এই সৎ সঙ্গের ভাবনায় সকলেই মুগ্ধ। সংঘের তরফে সুভাষ অধিকারী জানিয়েছেন, এদিন তাঁরা ১৯ জন অনগ্রসর এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দিয়েছেন। সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র অভিষেক বর্মন শিলিগুড়ি ডাবগ্রামে থাকে।কিন্তু ও কথা বলতে পারে না। অথচ অভিষেকের কথা বলার ভাষা হলো টেবিল টেনিস ব্যাট এবং বল।আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত অনগ্রসর অভিষেকের পরিবার। এত সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে অভিষেক দু-দুবার জাতীয় টেবিল টেনিসে অংশ নিয়েছে।শনিবার অভিষেকের হাতেও শীত বস্ত্র তুলে দেয় মা সুধাংশু বালা সারস্বত মহিলা সংঘ। এভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর পায়েল বর্মন, সুরজ ওরাও,নারায়ন ঘোষ, বিজয় শা সহ অন্যরা মা সুধাংশু বালা সারস্বত মহিলা সংঘের মানবিক কাজে বেশ খুশি। সুধাংশুবালা সারস্বত সংঘের তরফে সুভাষ অধিকারী জানিয়েছেন, অতীতেও তাঁরা এরকম মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।আগামীদিনেও এই ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—