
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সঙ্গীতের সারেগামাপাধানিসা কিন্তু এসেছে এই প্রকৃতি বা পরিবেশ থেকে। কাজেই এই প্রকৃতি বা পরিবেশ আমরা ধ্বংস করে দিতে থাকলে আমাদের সঙ্গীতও নষ্ট হয়ে যাব।অথচ গান শুনলে বা গান করলে অনেক রোগ ব্যাধি পালিয়ে যায় শরীর থেকে। সবচেয়ে বড় কথা সঙ্গীত আমাদের ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে শেখায়, আর সঙ্গীত আমাদের ডিপ্রেশন দূর করতে সাহায্য করে। খবরের ঘন্টার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এইসব কথাগুলো জানালেন বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ সাত্তারউদ্দিন আহমেদ।
ব্যতিক্রমী এই সঙ্গীত শিল্পীর বাড়ি শিলিগুড়ি ভারতনগর ডাবগ্রামে, জোড়াপানি নদীর ধারে। তাঁর বাবা ছিলেন প্রয়াত ভাওয়াইয়া শিল্পী আজিমুদ্দিন মিঞা। লোক সঙ্গীত বংশ পরম্পরায় রক্তে রয়েছে মহম্মদ সাত্তারউদ্দিনের।আর তিনি একজন উন্মুক্ত মনের শিল্পী মানুষ। কখনো তাঁর ইচ্ছে হলে তিনি মসজিদে গিয়ে বসেন,নমাজ পড়েন আবার কখনো ইচ্ছে হলে মন্দিরে গিয়ে কীর্তন নিয়ে বসেন।তাঁর কথায়,যে যে ধর্মই করুক না কেন,গন্তব্যতো একই পরম শক্তিমান। মূল সুরতো একটাই।এক সময় তিনি কৃষ্ণ সেজে অষ্ট সখী এবং রাধিকা নিয়ে পালা গান করতেন রাস পূর্নিমার আগে। সামনেই রাস পূর্নিমা।উত্তরবঙ্গে কোচবিহারের রাস পূর্নিমার উৎসবতো বিশ্ব বিখ্যাত। সেই রাস পূর্নিমাকে সামনে রেখেও এই শিল্পী খবরের ঘন্টার দর্শকদের জন্য গান গাইলেন। শিল্পী সাত্তারউদ্দিন আহমেদের দুঃখ হলো,এখন পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংস হতে থাকায় গানের সেই পুরাতন সুর বা হৃদম আগের মতো দেখা যায় না। অতীত দিনের কিছু কালজয়ী গান আজও শুনলে সকলের শরীরের রোমকূপে শিহরন জাগিয়ে তোলে। কিন্তু এখনকার গানে সেই সুর নেই, এখন পরিবেশ প্রকৃতি রুক্ষ্ম হতে থাকায় সঙ্গীতেও রুক্ষ্ম ভাব চলে আসছে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—
