বাপি ঘোষ ঃ এগিয়ে আসছে দীপান্বিতা উৎসব
। দীপান্বিতা উৎসবের ঠিক আগে এই দীপান্বিতা বেরিয়েছেন তার তার দাদা দীপকে নিয়ে। দীপ যেন অন্যরকম এক প্রদীপ। অন্ধকারে সত্যিই এক আলো দেখানো প্রদীপ। আসলে যে দীপের কথা বলা হচ্ছে, তার পুরো নাম দীপ্তেন্দু দত্ত। ডাক নাম দীপ। একজন ভালো ফটোগ্রাফার। ছবি তোলা ওর নেশা। এক পথ দুর্ঘটনায় ওর এক চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গেলেও ছবি তোলার নেশা থেকে ও সরে আসেনি। বাম চোখে দেখতে না পারলেও ডান চোখে দীপ দেখতে পায়। আর সেই চোখ দিয়েই ছবি তোলার জন্য বৃহস্পতিবার ও পৌঁছে যায় শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপাখরির হাতিরাম জাতের রাজ ফায়ার ওয়ার্কসের। ওর বোন দীপান্বিতা ওকে ধরে ধরে নিয়ে যায় বাজি কারখানায়। কারণ দীপ এখনো একা একা সেভাবে চলাফেরা করতে পারে না। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির ফটোগ্রাফার এই দীপ্তেন্দু দত্ত। দু’বছর আগে ভালোই ছিল। ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ ফটোগ্রাফি করতো। ফটোগ্রাফির গুণগত মানও ওর ভালো। রয়েছে ফটোগ্রাফির তৃতীয় চোখ বা থার্ড আই। হঠাৎ এক পথদুর্ঘটনায় ওর মাথায় চোট লাগে। শিলিগুড়ি থেকে দিল্লী, দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ সর্বত্র চিকিৎসা চলে। শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের সমস্ত সাংবাদিক, শিলিগুড়ির বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রচুর শুভানুধ্যায়ী ভালো মানুষ দীপের সুস্থতা কামনা করে এগিয়ে আসেন। সকলের প্রার্থনা ও আশীর্বাদ, ভালোবাসায় একজন ভালো চিত্র সাংবাদিক মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে। এখন একটু সুস্থ হওয়ায় দীপ আবারো ফটোগ্রাফির নেশায় ডুব দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ও উপস্থিত হয়ে যায় লিউসিপাখরির বাজি কারখানায়। ওকে ওই কারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করে ওর বোন দীপান্বিতা। দীপান্বিতা উৎসবকে সামনে রেখে এখন বাজি কারখানায় তুমুল ব্যস্ততা আর তার মধ্যেই দীপ ফটোগ্রাফির নেশায় ডুব দেয়। যারা নতুন ফটোগ্রাফি করতে চায় বা যারা চিত্র সাংবাদিকতা করতে চায় তাদের জন্য দীপ কিন্তু এক অনুপ্রেরণার প্রদীপ।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :