নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পুজো মানে ক’টা দিন ছুটি। আর ছুটি মানেতো একটু বাড়িঘর ছেড়ে কোথাও বেরিয়ে পড়া।একটু কোলাহল থেকে দূরে থাকা,জমিয়ে কটা দিন প্রকৃতি পরিবেশের সঙ্গে মিশে গিয়ে নির্ভেজাল আনন্দ নেওয়া। তাই ভ্রমন রসিক বাঙালি বসে নেই, একদিকে পুজো দেখার আনন্দ। আরেকদিকে শান্ত নিরিবিলিতে সময় কাটানো,শরীর ও মনকে একেবারে তাজা করে তোলা।তাই এবার বাংলা থেকে বহু মানুষ ছুটছেন কাশ্মীরের দিকে।আবার অনেকে দার্জিলিং ও সিকিমের অফ বিটগুলো খুঁজে নিচ্ছেন। দার্জিলিং এর লামাহাট্টা থেকে শুরু করে তিনচুলে,তাকদা,সিটং সহ বিভিন্ন নিরিবিলি পাহাড়ি পরিবেশের জন্য বুকিং শুরু করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক। এককথায় পুজোর ভ্রমণে বহু মানুষ যেমন ভূস্বর্গ কাশ্মীর ভ্রমণের দিকে ঝুঁকেছেন তেমনই দার্জিলিং পাহাড়ের অফ বিট বা হোম স্টেগুলোতে বুকিং এর লাইন লেগেছে পর্যটকদের। কিন্তু পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন তারজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ট্যুর অপারেটররা।শিলিগুড়ি বা দার্জিলিং পাহাড়ে পর্যটকরা এলে তাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে কিছু গাড়ি চালক। বহু ক্ষেত্রে পর্যটকরা হয়রানির শিকার হন।অথচ পর্যটকদের ভগবানের মতো শ্রদ্ধা প্রদান করা উচিত বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটররা।শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত জয়ন্তী ট্রাভেলস এর কর্নধার বাপন মন্ডল এবং সেলস প্রধান শ্যামলী গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, পুজোর বুকিং পুরোদমে চলছে। তাদের কাছ থেকে আতিথেয়তা পেয়ে নিজের নিজের এলাকাতে ফিরে গিয়ে সেই সব পর্যটকরা তাদের কাছে আরও পর্যটক পাঠাচ্ছেন। এভাবেই অনেক বুকিং আসছে।শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডের মিঞা গ্যারেজ বিল্ডিংয়ে তাদের প্রধান কার্যালয়। তাছাড়া ওয়েবসাইট রয়েছে ডব্লু ডব্লু ডব্লু ডট জয়ন্তী ট্রাভেলসডটইন। তাদের মাধ্যমে কেও ভ্রমণের বুকিং করলে কোনো টেনশন ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন।সম্প্রতি শিলিগুড়িতে বেঙ্গল ট্রাভেল মার্ট সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে গুজরাট,কেরালা সহ বিভিন্ন রাজ্যের ট্যুর অপারেটররা যোগ দিয়েছিলেন। পর্যটন শিল্প আরও কিভাবে এগিয়ে যেতে পারে,পর্যটকরা কিভাবে নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন তা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয় বলে বাপনবাবু জানিয়েছেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—