অনগ্রসর মেয়েদের নৃত্যের তালিম দিয়ে জেলাস্তরীয় লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় কবি সুকান্ত হাইস্কুল

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া মেয়েদের মধ্যে অনেক বিষয়ে প্রতিভা রয়েছে। একটু যত্ন এবং তালিম পেলেই সেই মেয়েরা কিছু করে দেখাতে পারে। আর তার উদাহরণ তৈরি করল শিলিগুড়ি জংশন পাতি কলোনির কবি সুকান্ত হাই স্কুল। মঙ্গলবার ২৯ শে আগস্ট শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে আয়োজিত জেলা স্তরীয় লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সকলের নজর কাড়লো কবি সুকান্ত হাই স্কুলের শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল। প্রথম স্থান অধিকার করে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল সকলের নজর কাড়ে। অপরদিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করে চটহাট হাই স্কুল। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার সমগ্র শিক্ষা মিশন এই জেলা স্তরীয় লোকনৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেখানে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার অধীন ১১ টি স্কুল অংশ নেয়। যেসব স্কুল তাতে অংশ নেয় সেইসব স্কুল হল বেলগাছি হিন্দি হাই স্কুল, বুড়াগঞ্জ কালকূট হাই স্কুল, চটহাট হাই স্কুল, ইলাপাল চৌধুরী মেমোরিয়াল ট্রাইবাল হিন্দি হাই স্কুল, কবি সুকান্ত হাই স্কুল, মাটিগাড়া বালিকা বিদ্যালয়, শিলিগুড়ি রবীন্দ্রনগর গার্লস হাইস্কুল, শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল, শিলিগুড়ি নেতাজি হাইস্কুল, শিবমন্দির নরসিংহ বিদ্যাপীঠ এবং শুভমায়া সূর্য নারায়ণ হাই স্কুল। ্সমস্ত স্কুলকে টপকে শিলিগুড়ির নামকরা বয়েজ হাই স্কুল সেরার সেরা অর্থাৎ প্রথম স্থানে চলে যায়। কিন্তু অত্যন্ত অনগ্রসর এবং পিছিয়ে পড়া মেয়েদের তালিম দিয়ে পরিবেশের উপরে কবি সুকান্ত হাই স্কুল যে লোকনৃত্য পরিবেশন করে তা প্রত্যেকের প্রশংসা অর্জন করে। কবি সুকান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঋষিন বিশ্বাস ওই স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে নৃত্য সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে তার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে।প্রধান শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অনগ্রসর ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় এই স্কুলের দ্বিতীয় স্থান অধিকার। পিছিয়ে পড়া মেয়েদের গত কয়েক দিন ধরে ওই স্কুলের শিক্ষিকা সোমা দাস এবং রুমি গোস্বামী লোকনৃত্যের অনুশীলন করান। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ওপর সেই লোকনৃত্যে অংশ নেয় স্কুলের ছাত্রী পূরবী, মল্লিকা, বর্ষা, রিয়া, নন্দিনী এবং পূজা। তাদের সেই পরিবেশের উপর অসাধারণ লোকনৃত্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে বিচারক থেকে শুরু করে অন্য সব দর্শকের মন কেড়ে নয়।লোক নৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার সেই বার্তা বিচারকদের মন জয় করে নেয়।নৃত্যের বিশেষ ভাষ্য পাঠে ছিলেন শিক্ষিকা সোমা দাস। আর সবশেষে সেই কবি সুকান্ত হাই স্কুলকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে দিতে তাদের দিনরাত পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিরাট ইতিবাচক ভাবনার প্রসার ঘটবে। আগামী দিনে সুস্থ সমাজ গড়তে সাহায্য করবে এই ধরনের ইতিবাচক ভাবনা। প্রসঙ্গত এই প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে বুড়াগঞ্জ কালকূট সিং হাইস্কুল। বুড়াগঞ্জ কালকূট সিং হাইস্কুল সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করলেও অল্পের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তাঁরা চটহাট হাইস্কুল থেকে পিছিয়ে পড়ে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—