শিল্পী পালিত, শিলিগুড়ি ঃঃ শিলিগুড়ির মেয়ে পায়েলি ধর চক্রবর্তী পরিবেশের কথা চিন্তা করে একরকম কাগজের গিফট ব্যাগ নিয়ে এসেছেন। এই ব্যাগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা শুরু হয়েছে। হস্ত শিল্পে বেশ পারদর্শী পায়েলি। আবার ওর লেখালেখির নেশাও রয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে ওর কবিতার বইও। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ যেভাবে পরিবেশ দূষন সৃষ্টি করছে সেখানে দূষন ঠেকাতে পায়েলির অভিনব ভাবনা অনেকের মনে দাগ কাটছে। পায়েলী ধরের জন্ম মহানন্দাপারের শিলিগুড়ি শহরে। সন: ১০ফাল্গুন, ১৩৯৫। ডাককর্মী পিতা-মাতার সন্তান পায়েলীর বেড়ে ওঠাও চায়ের দেশেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ সেন্ট জোসেফ স্কুল, নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে হাই স্কুল, তরাই তারাপদ উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। উচ্চতায় ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কিন্তু বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রগান ভালোবেসে সে-কবেই তাঁর বঙ্গভাণ্ডারের বিবিধ রতন খুঁজতে চলে আসা। তারপর কীক’রে জড়িয়ে যাওয়া কবিতায়, কাব্য-ডায়েরি ও মুক্তগদ্যে। পেশায় সার্বক্ষণিক শিল্পী। সমাজমোতাবেক কর্মজীবন স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় স্কুল ম্যাগাজিনে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়। তারপর বর্ষে-বর্ষে অনেক হয় বেলা। বাংলার খ্যাত-সম্ভাবনাময় অজস্র ছোটপত্রিকা ও বাণিজ্যিক পত্রিকা তাঁর নিয়মিত লেখবার ঠিকানা হয়ে ওঠে। প্রথম একক কবিতার বই ‘অনির্বিৎ ঈশ্বরেরা’; যাপনচিত্র প্রকাশনার তরফে বইটি ২০১৮ সালে কোলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায় প্রকাশ পেয়েছে। অক্ষরমাধ্যম ছাড়া ফেব্রিক, স্টিচ, কোলাজ এবং নৃত্য ও বাচিক শিল্পভুবনেও পায়েলী সমান স্বচ্ছন্দ। পরিবেশসচেতনতা ছড়িয়ে দিতে তাঁর তৈরি কাগজের গিফট ব্যাগ এ-সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। পেয়েছেন ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ সম্মাননা’, বিধাননগর কালচারাল সোসাইটির পক্ষ থেকে ‘কবি-সম্মান’, বিশ্বকবিমঞ্চের বাংলাদেশ মৌলভীবাজার শাখার পক্ষ থেকে ‘কবি-সম্মান’। ‘দ্য মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-র তরফে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ ফেস্টিভাল অ্যান্ড বিজনেস সামিট ২০১৬’ উপলক্ষ্যে সম্মানিত কবি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন।