বাপি ঘোষ ঃ সারা জীবন তিনি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দের ভাব দর্শন নিয়ে কাজ করেছেন। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের সেবায়। এখন এই ৯৬ বছর বয়সে পৌঁছেও তিনি ভাবছেন, এখনো মানুষকে বহু কিছু দেওয়া বাকি। বহু সেবা কাজ বিশেষ করে সৎসঙ্গ দেওয়া জরুরী। কিন্তু তার সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল চোখের দুটো ছানি। শেষমেষ শিলিগুড়ি ইনার হুইল ক্লাব অফ উত্তরায়ণ এবং দ্য হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতায় তার দুই চোখের ছানি অপারেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল। শিলিগুড়ি প্রধান নগরের শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বুদ্ধাত্মানন্দজী এই ৯৬ বছর বয়সে পৌঁছেও এখনও ভাবছেন যে, আগামী দিনগুলো যে কদিন শরীরে থাকবেন সে কদিন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং স্বামীজীর ভাব সেই সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তথা সৎ সঙ্গের ভাব ভক্তদের মধ্যে প্রচার করে যাবেন।স্বামী বুদ্ধাত্মানন্দজী মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন –সেবাই হল পরম ধর্ম।আর সেবার মধ্য দিয়েই পরমাত্মার সঙ্গে মিলন হতে পারে। আর পরমাত্মার সঙ্গে মিলন হলেই মনুষ্য জীবন সার্থক। বিরাট বড় চিন্তার অধিকারী কর্ম যোগী এই স্বামীজি। এই বয়সে এসেও অধ্যক্ষ মহারাজ কাজ করার যে প্রেরণা দিচ্ছেন সকলকে এবং সৎসঙ্গ প্রচার করার ভাব যেভাবে তাকে তাড়না দিচ্ছে তাকে শ্রদ্ধা ও প্রনাম জানাচ্ছেন সকলে। দ্য হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট এর বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক ডাক্তার সুপ্রতিক ব্যানার্জি স্বামী বুদ্ধাত্মানন্দের এই আদর্শ বা দর্শন আজকের দিনে বড়ই অনুপ্রেরণার বিষয় বলে উল্লেখ করেন। ইনার হুইল ক্লাব অফ শিলিগুড়ি উত্তরায়নের সহযোগিতায় বিনামূল্যে স্বামী বুদ্ধাত্মানন্দের চোখের ছানি অপারেশন করতে পেরে বেশ খুশি ডাঃ সুপ্রতীক ব্যানার্জীরা। অপরদিকে শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের সহ-সম্পাদক স্বামী রাঘবানন্দজি জানিয়েছেন, চোখের ছানির জন্য অনেক কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারছিলেন না অধ্যক্ষ মহারাজ, এর জন্য তিনি অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। এবারে দা হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার চক্ষু অপারেশন পর্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকলেই খুশি। হিমালয়ান ইনস্টিটিউট যেভাবে ঘরোয়া পরিবেশে আন্তরিকতার চোখের অপারেশন করেছে তাতে অধ্যক্ষ মহারাজও প্রচন্ড খুশি। তিনি ইনার হুইল ক্লাব অফ শিলিগুড়ি উত্তরায়ণ এবং দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বৃহস্পতিবার।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-