নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কে বলেছে আজকের শিশু কিশোরেরা দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবছে না? কে বলেছে আজকের শিশু কিশোরেরা শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে থাকে? যাঁরা আজকের শিশু কিশোরদের নিয়ে শুধু নেতিবাচক কথা বলেন,তাদেরকে বার্তা দিতেই হচ্ছে, বদলে ফেলুন আপনাদের ধ্যানধারনা। ইতিবাচক ভাবনায় আসুন।শিলিগুড়ি সেভক রোডে পি সি মিত্তল বাস স্টান্ডের বিপরীতে চলে গিয়েছে একটি রাস্তা, সেই রাস্তা ধরে খানিকটা এগিয়ে গেলেই মিলবে সারদা শিশু তীর্থ স্কুল। শিলিগুড়ি দুই মাইল সেবক রোডের সারদা শিশু তীর্থে গেলে আপনি কিন্তু অন্যরকম এক ভারতীয় সংস্কৃতির পরিবেশ পাবেন।সেই স্কুলে নৈতিক মূল্যবোধ এবং আদর্শ জীবন সর্বোপরি মানুষ তৈরি করার শিক্ষা যেমন দেওয়া হয় তেমনই ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞান ও গনিত চর্চার গুরুত্ব শেখানো হয়।শৈশব থেকেই সে স্কুলের ছেলেমেয়ে দেশ ও সমাজের কথা চিন্তা করে নানারকম বিজ্ঞান মডেল তৈরি করছে।তাদের গনিত ও বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী শক্তি তারিফ করবার মতোই। বিদ্যাভারতী শৈক্ষিক ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শনিবার ১২ আগস্ট বিদ্যালয়ের গনিত বিজ্ঞান মেলা সারদা শিশু তীর্থ সেবক রোড( মাধ্যমিক) বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম।অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধানাচার্য নির্ভয় কান্তি ঘোষ ছাড়াও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। গনিতের ওপর ক্যুইজের পাশাপাশি সেখানে বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শিত হয়। দশম শ্রেণির ছাত্র রাজবীর কুড়ি,সৃজন সরকার, সপ্তর্ষি দেব,শুভদীপ দত্ত সহ অন্যরা অপূর্ব সব মডেল মেলে ধরে। পথ দুর্ঘটনা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে,এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যানজটের মধ্যে একটি এম্বুলেন্স বা দমকলের গাড়িকে আগে পার করে দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে কিভাবে নির্দেশ দিতে পারে তার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে বিজ্ঞান মডেলে।রাস্তায় দুষ্কৃতিদের কাজকর্ম কিভাবে ধরে ফেলা সম্ভব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গোয়েন্দা ক্যামেরা কাজে লাগিয়ে, সেটাও উল্লেখ করেছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় এই কিশোর ছাত্ররা।সীমান্তে দুর্যোগের মধ্যে কাজ করতে থাকা সেনা জওয়ানরা হঠাৎ কোনো বিপদে পড়লে কিভাবে তার বিপদের কথা অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে বিশেষ প্রযুক্তির হ্যান্ড গ্লাভসের সাহায্যে, তা ফুটে উঠেছে বিজ্ঞান মডেলে।সেই বিশেষ প্রযুক্তির হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করে মেয়েরাও তাদের বিপদের কথা যথাস্থানে পৌঁছে দিতে পারে। আবার রাতে গাড়ি চালানোর সময় কোনো মহিলা গাড়ি চালক বিপদে পড়লে গাড়ির মধ্যে থাকা বিশেষ বোতাম টিপে কিভাবে পুলিশে খবর দিতে পারে তার মডেলও ছিলো ওই প্রদর্শনীতে।অপরদিকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা পরিশুদ্ধ করার পর খরার সময় কৃষকরা সেই জল কিভাবে চাষবাসে ব্যবহার করতে পারে তার দিক নির্দেশও বিজ্ঞান মডেলের মাধ্যমে দিয়েছে এই খুদে বিজ্ঞানীরা।এভাবে বিভিন্ন বিজ্ঞান মডেল শুধু যে ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞান প্রতিভাকেই উস্কে দিচ্ছে তা কিন্তু নয়, ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের কল্যানে তাদের বিজ্ঞান মেধা কিভাবে কাজে লাগতে পারে তার ইতিবাচক ভাবনা এই ছোট বয়স থেকেই বিকশিত হওয়া শুরু হয়েছে। কাজেই আজকের ছেলেমেয়েরা সব স্বার্থপর, তারা দেশ ও সমাজের কথা চিন্তা করে না এমনটা ভাবার কোনো কারন নেই।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —