নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ স্কুলের মধ্যে শুধু সাপ আর সাপ।তাও আবার যে সে সাপ নয়,বিষধর গোখরো আর গোখরো। সাপের আতঙ্কে স্কুলই ছুটি ঘোষিত হয়ে গেলো কয়েকদিনের জন্য। খবর জলপাইগুড়ির।
সাপের আতঙ্কে মঙ্গলবার সকালে এবং দুপুরের সেই স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের বাইরেই বেরিয়ে যান শিক্ষিকারা। পড়ুয়ারা স্কুলে এলেও তাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সকলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। স্কুল থেকে শেষমেষ ৩১ টি গোখরা সাপের ছানা উদ্ধার হয়। এর জেরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি মারোয়ারী বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা।সেই স্কুল থেকে দু দফায় প্রায় ৩১ টি গোখরো সাপের ছানা উদ্ধার হয়।সব ছানা উদ্ধার হলেও এই লেখা পর্যন্ত বড় সাপটি উদ্ধার হয় নি।
গত কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ির ওই স্কুলে মাঝেমধ্যে সাপের ছানা দেখা যাচ্ছিলো। সোমবার বিকেলে স্কুল চত্বরে গোখরো সাপের খোলস দেখতে পাওয়া যায় । স্কুলের তরফে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পরিবেশপ্রেমী কর্মীদের।
পরিবেশপ্রেমী কর্মীরা স্কুলে এসে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রথমে ২০ টি গোখরো সাপের ছানা উদ্ধার করে চলে যান।
এরপর সন্ধ্যা নাগাদ সেই স্কুল চত্বরে আবারও সাপের ছানা দেখতে পাওয়া যায়। ফের খবর দেওয়া হয় পরিবেশ-প্রকৃতি কর্মীদের । আবারও ১১ টি গোখরো সাপের ছানা উদ্ধার হয়।
স্কুলের কর্মী শম্ভু রায় বলেন গতকয়েকদিন ধরে সাপের ছানা স্কুল চত্বরে দেখা যাচ্ছিল। এরপর সাপের খোলসের সঙ্গে আরও সাপের ছানা দেখা যায় । তারপর খবর দেওয়া হয় পরিবেশ প্রেমী কর্মী অঙ্কুর দাসকে ।
পরিবেশ প্রেমী কর্মীদের বক্তব্য, খোলস দেখে মনে হচ্ছে পূর্ন বয়স্ক গোখরো সাপ সেখানে রয়েছে। এরা একসাথে অনেক ডিম পাড়ে। প্রায় ৩১ টির বেশি ছানা ফোটাতে পারে। দু দফায় ৩১ টি সাপের ছানা উদ্ধার হয়েছে । আরও সাপের ছানা থাকতে পারে। সাপ ছানাদের বাবা-মাও সেখানে থাকতে পারে। তাই কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে আপাতত বন্ধ করা হলো মারোয়ারি বিদ্যালয়।
প্রাইমারি এবং হাই স্কুলের শিক্ষিকারা বলেন, সাপের আতঙ্ক গোটা এলাকা জুড়ে। সবাই আতঙ্কে রয়েছে।বড় সাপগুলো বের না হওয়া পর্যন্ত চিন্তা থেকে যাচ্ছে। আপাতত কয়েকদিন স্কুল বন্ধ থাকবে বলে শিক্ষিকারা জানান।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —