নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সে কালী মন্দির আড়াইশো বছরের পুরনো। ব্রিটিশরা সেই মন্দিরের সামনে বন্দিদের ফাঁসি দিতেন,তার থেকেই পরবর্তীতে ফাঁসিদেওয়া নামের প্রবর্তন। শিলিগুড়ি শহর তখন জঙ্গলের শহর।ফাঁসিদেওয়া থেকেই বিভিন্ন কাজ করতেন ব্রিটিশরা,তখনতো বাংলাদেশের জন্ম হয়নি।কিন্তু আজ সেসব অতীত, সময়ে সব বদলে যায়।
তবে শিলিগুড়ি মহকুমার বাংলাদেশ সীমান্তে এখনো রয়েছে সেই কালি মন্দির।আরভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলের *কাঞ্চা কালী বাড়ির বাৎসরিক কালীপুজো* অনুষ্ঠিত হলো শনিবার । শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী। ওপার বাংলা এপার বাংলা মিলিয়ে কাজ হোত ব্রিটিশ আমলে। একটি কাঁঠাল গাছ ও পাকুর গাছ একসঙ্গে রয়েছে সেখানে, তা ব্রিটিশ আমলের স্মৃতি বহন করছে । স্থানীয়রা জানান,এই কালী মন্দির প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো । ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশরা এই মন্দির চত্বরে
ফাঁসি দিতেন ।আর সেই সময় থেকেই ফাঁসিদেওয়ার নামটির প্রচলন হয়। অতীতে ছোট করে পূজা হোত সেখানে । এখন ধুমধামের সঙ্গে পুজো হয়। গ্রামের দূর দূরান্ত থেকে মানুষরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এ বছর অবশ্য একটু আলাদা পরিস্থিতি তৈরি হলো, কারণ সীমান্তে কাঁটাতারের ভিতর পড়ে গিয়েছে ওই মন্দির ।আর সেই এলাকা পাহারায় রয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ।বি এস এফের অনুমতি নিয়েই সেখানে পুজো হলো। পুজোর পর খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা হয় সন্ধ্যায় ।আগামীতে আরো ভালো করে এই পুজো করতে চান উদ্যোক্তারা।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-