শিল্পী পালিতঃ নিজে তিনি গান লিখছেন,আবার সে গানে নিজেই সুর দিচ্ছেন। শুধু গান করা নয়,নিজে তবলা বাজিয়েও বেশ অন্যরকম শিল্পী হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ার সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমী ঘোষ।
ছোট থেকেই গান বাজনা নিয়ে মেতে রয়েছেন মৌসুমী। তার দাদু খুব ভালো গান জানতেন। আর তার দাদুর কাছ থেকে সেই গুন পেয়েছেন তার মা। তার মা অরুন্ধতী চ্যাটার্জী একজন ভালো বেতার শিল্পীও। মায়ের কাছেই মৌসুমীর প্রথম গান শেখার হাতেখড়ি। পরে আরও গুনীজনদের সান্নিধ্যে আসেন। এরমধ্যে মানিক মুখার্জী, কাবেরি চক্রবর্তী, অঞ্জনা নাথের কাছে তালিম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের। নজরুল গীতি, আধুনিক গান ও ভজন তার মায়ের কাছে শেখা। ছোটবেলায় তার মার কাছে গানের সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করতে আসতেন কালিচরন নামে এক শিল্পী। তার কাছেই প্রথম তবলা শেখা মৌসুমীর। পরে তিনি মারা গেলে তপন ব্যানার্জীর কাছে কিছুদিন তবলা শেখেন। এভাবে গানবাজনার মধ্যে দিয়ে বড় হয়ে সংসার জীবনে প্রবেশ করেন মৌসুমী।
তার মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি তবলায় সঙ্গত করেছেন।এখন বয়স ৩৯। কোথাও গেয়েছেন, কোথাও তবলা বাজিয়েছেন। আর তাতে অনেক পুরস্কারও এসেছে। তবে তার সঙ্গীত জীবনের উল্লেখ করার মতে আর একটি দিক হল, নিজের লেখা গানে নিজের সুর দেওয়া। তার নিজের কথা ও সুরে এখন পর্যন্ত ২৯ টি গান রয়েছে। নিজের কথা ও সুরে ৫টি গান নিয়ে তার একটি আধুনিক বাংলা গানের অ্যালবাম বেরিয়েছে। মৌসুমীর কথায়, নিজের লেখা গানে সুর দেওয়ার মজাই আলাদা। ভবিষ্যতে এসব গান নিয়ে তিনি আরও কিছু কাজ করতে চান। নিজের ছেলেকেও পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা ও সঙ্গীত চর্চায় উৎসাহ দিচ্ছেন তিনি। মৌসুমী বলেন, আমাদের জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল গানবাজনা। আর এটাকে সম্বল করে সমাজের বহু মানুষ ভালো থাকার চেষ্টা করে। অনেকে সঙ্গীতের মাধ্যমে একটি সুন্দর জীবন খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় একটি ভালো গান জীবনের অনেক দুঃখকে ভুলিয়ে দিতে পারে। আবার একটি ভালো গান শুনে চঞ্চল মন শান্ত হতে পারে। গান শুনে বা গানের চর্চা করে অনেক সময় অসুস্থ শরীরও ভালো হয়ে যেতে পারে। গান শুনলে মন শরীর ভালো থাকে অনেকের। গানই প্রাণ মৌসুমীর। তার স্বামীও গানবাজনার বিষয়ে বেশ উৎসাহী। তবে কাজের ব্যস্ততার জন্য অতটা সময় দিতে পারেন না।
গান ছাড়া সুস্বাদু রান্না করতে পারেন মৌসুমী। তাছাড়া ফেব্রিক আর্ট, সেলাইয়ের মতো হাতের কাজ করতেও তার ভালো লাগে।