সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন কার্শিয়াংয়ের নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  পড়াশোনার ব্যস্ততার ফাঁকে ছেলেমেয়েদের মাঝেমধ্যে কাছেপিঠে সবুজের দেশে বেড়াতে যাওয়া প্রয়োজন।আর ভ্রমন যদি হয় কোনো ঐতিহাসিক স্থান তবেতো কথাই নেই। বইয়ে পড়া আর স্বচক্ষে দেখার মধ্যে অনেক ফারাক।সেই চিন্তা থেকেই শিলিগুড়ি বিড়লা দিব্যজ্যোতি স্কুলের ছাত্রী রুপকথা চট্টোপাধ্যায় শিলিগুড়ি লেকটাউন থেকে ভ্রমনে বেরিয়ে পড়েছিল কার্শিয়াংয়ে।রুপকথার সঙ্গে ছিলো ওর বাবা জয় চট্টোপাধ্যায়, মা সঙ্গীত শিল্পী পাঞ্চালি চক্রবর্তী, মাসি মুনমুন গাঙ্গুলি। কার্শিয়াং এর গিদ্দা পাহাড়ে রয়েছে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি।সেই বাড়ি এখন ঐতিহাসিক মিউজিয়ামের রুপ নিয়েছে।১৯৩৬ সালের জুন মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই বাড়িতেই নেতাজিকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন ব্রিটিশরা।১৯২২ সালে শরৎ চন্দ্র বোস এই বাড়িটা কিনে নিয়েছিলেন অসমের এক ডেপুটি পুলিশ সুপারের কাছ থেকে। এই বাড়ি থেকেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিঠি লিখেছিলেন। বিশ্ব কবিও তাঁর জবাব দিয়েছিলেন। এই মিউজিয়াম বাড়িতে এখন নেতাজির লেখা চিঠিপত্র,আসবাবপত্র, পোশাক, পিয়ানো সব যত্ন সহকারে রাখা আছে।রয়েছে অনেক ছবিও। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক এই বাড়িতে আসেন। প্রতিদিন এমনকি রবিবারও খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত খোলা থাকা মিউজিয়াম। স্থানীয় কেয়ারটেকার পদম বাহাদুর ছেত্রী সেখানে সবসময় থাকেন। স্কুল ছাত্রী রুপকথা চট্টোপাধ্যায় খবরের ঘন্টার দর্শকদের জন্য সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বা মিউজিয়ামের কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করে এনেছে। কেয়ারটেকার পদম বাহাদুরের বক্তব্যও ক্যামেরায় বন্দী করেছে রুপকথা। মেধাবী ছাত্রী রুপকথা জানায়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পড়াশোনার ফাঁকে এইসব ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করতে পারে শিক্ষামূলক ভ্রমনের অঙ্গ হিসাবে। মিউজিয়ামের ভিতরের ছবি তোলাতে বিধিনিষেধ থাকায় সব ছবি তুলতে পারেনি রুপকথা। তবুও তাঁর এই চিন্তা এবং প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানায় খবরের ঘন্টা।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —