ফুটবল প্রতীক চেয়ে নির্দলের জার্সিতে খেলতে নেমে হঠাৎ জার্সি বদল, গেরুয়ায় নান্টু পাল

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ খেলা হবে শ্লোগানে সুর দিয়ে তিনি শিলিগুড়ি বিধান সভা আসনে ফুটবল প্রতীক চেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে তিনি ক্ষোভ জানিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। খেলা হবের ভাবনায় তাঁর নির্বাচনী পোস্টার শিলিগুড়ি শহরে ছেয়ে গিয়েছিল।এমনকি দোলযাত্রার দিনও বিজেপির প্রার্থী শঙ্কর ঘোষকে আবীর মাখিয়ে তাঁকে আওয়াজ তুলতে শোনা যায় খেলা হোক উন্নয়নের, খেলা হোক বিভিন্ন মানুষের আবেগের। কিন্তু ফুটবল প্রতীক চেয়ে খেলতে নেমে তিনি হঠাৎ সরে গেলেন খেলার নির্বাচনী ময়দান থেকে। শেষমেষ বিজেপিতে যোগ দিলেন শিলিগুড়ির এই নির্দল প্রার্থী তথা পুরনো রাজনৈতিক নেতা নান্টু পাল। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পাল, বিধান রোড ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা বাবলু তালুকদার, জোড়াসাঁকোর প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ, অল ইন্ডিয়া বৈশ্য ফেডারেশনের সুমন আগরওয়ালা, আই এন টি টি ইউসির বিজয় শঙ্কর পান্ডে এদিন কলকাতাতে যোগ দেন বিজেপিতে। দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাত থেকে পতাকা তুলে নেন নান্টুবাবু। তিনি সম্প্রতি তৃনমুলের টিকিট না পেয়ে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে ফুটবল প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়বেন বলে স্থির করেন। কিন্তু এদিন তিনি বিজেপির পতাকা তুলে নেওয়ায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। রাজনীতির ময়দানের খেলায় তাঁর যাত্রা শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। সিপিএম দলের জার্সি পড়ে খেলতে নেমে তিনি একসময় বহু দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপর লাল জার্সি পরিবর্তন করে তিনি কংগ্রেসের হাত মার্কা তেরঙা জার্সি পড়ে রাজনীতির মাঠে নামেন। সেখান থেকে আবার জার্সি পরিবর্তন করে ঘাসফুল মার্কার তেরঙ্গা জার্সি পড়ে মাঠে নেমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরই থেকে যান ধারাবাহিকভাবে। ঘাসফুলের জার্সিতে তিনি এসজেডিএর ভাইস চেয়ারম্যান, ক্রীড়া পর্ষদের দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু এবার বিধান সভার নির্বাচনী মাঠে ঘাসফুলের জার্সিতেই মাঠে নামার ইচ্ছে ছিল তাঁর। সে ইচ্ছে পূরন না হওয়ায় নির্দলের জার্সি পড়ে ফুটবল নিয়ে একাই মাঠে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে সকলকে চমকে গেরুয়া জার্সি পড়ে নিলেন কেন? তবে কি ফুটবল গোলপোস্টের নেটে জড়াতে ভয় পাচ্ছিলেন? এসব নানা প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খেলেও বুধবার কলকাতায় তিনি বলেছেন, মনোনয়ন পত্র তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন। শিলিগুড়ি একটা গেটওয়ে শহর। বহু উন্নয়ন কাজ দরকার এই শহরে। একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম দরকার।