নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পুজো আসছে। আর পুজো আসতেই প্রতিবছরের মতো এবারও শিলিগুড়ি কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ নেই। শিলিগুড়ি কুমারটুলিতে ত্রিশটিরও বেশি কারখানা রয়েছে। ১৯৯৯ সালে এই কুমারটুলি স্থাপিত হয়। সেখানে মৃৎশিল্পীর সংখ্যা ২০০রও বেশি। সবমিলিয়ে ৪০০ মানুষের রুটিরুজি এই কুমারটুলির সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ৭০০ দুর্গা প্রতিমা প্রতিবছর এখানে তৈরি হয়। শিলিগুড়ি ছাড়াও পাহাড়, বিহারের একাংশ, নেপাল, নিম্ন অসমের একাংশ এবং সিকিম থেকে প্রচুর পুজো উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি কুমারটুলিতে এসে প্রতিমা নিয়ে যান। সেই গুরুত্বপূর্ণ কুমারটুলিতে যাতায়াত করবার জন্য সুবন্দোবস্ত নেই। শিলিগুড়ি মৃৎশিল্প উন্নয়ন সমিতি থেকে বারবার কুমোরটুলিতে যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত করবার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। মৃৎশিল্প উন্নয়ন সমিতির সভাপতি তথা রুপ ভারতীর বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী অধীর পাল জানাচ্ছেন, শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা আশাবাদী। রঞ্জনবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, হিলকার্ট রোড বা বর্ধমান রোড এর সঙ্গে কুমারটুলির সংযোগ যাতে সহজ হয় তার জন্য উদ্যোগ নেবেন। তাছাড়া কুমারটুলির সৌন্দর্যায়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসজেডি এর তরফে শিলিগুড়ি কুমারটুলিতে কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে কুমারটুলি চত্বরে আরো একটি টয়লেট এবং সকলের জন্য স্নানাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে পুর প্রশাসন কুমোরটুলির উন্নয়নের দিকে নজর গিয়েছে, এতে তারা পুরসভার ডেপুটি মেয়রের কথাবার্তায় বেশ আশাবাদী বলে অধীরবাবু জানিয়েছেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—