গ্রাম উন্নয়ন থেকে আগামীদিনের শিক্ষক তৈরি, অন্যরকম সাধনায় পুস্পজিৎবাবু

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃশিক্ষাতো তিনি দেনই, স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু যাঁরা শিক্ষক হবেন তাদেরকেওতো তিনি শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষক তৈরির শিক্ষা সে আরও অন্যরকমভাবে একেবারে আধুনিক নেট প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তোলার মতোই চলছে।
শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি বুড়াগঞ্জ কালকূট হাইস্কুলের তিনি এক অন্যরকম শিক্ষক।নাম পুস্পজিৎ সরকার। আবার শিলিগুড়ি তরাই বি এড কলেজেরও তিনি সম্পাদক। নিজে স্কুল স্তরে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানই নয়, আগামী দিনে কিভাবে ভালো শিক্ষক তৈরি হতে পারে তারও প্রশিক্ষণে মগ্ন পুস্পজিৎবাবু। এর বাইরে আবার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ এলাকায় ক্ষুদ্র চা চাষীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ওপরও তিনি গবেষণা ধর্মী কাজে নেমেছেন। বিশ্ব ভারতী থেকে গ্রাম উন্নয়নের ওপর তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন ২০০৪ সালে। তারপর উত্তরবঙ্গে গ্রাম উন্নয়নের কাজে তিনি নেমেছেন। তার পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও কিভাবে উত্তরবঙ্গের মানুষ এগিয়ে যেতে পারেন তার অবদানও তিনি রেখে চলেছেন। একসময় আলিপুরদুয়ার জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি অফ নর্থবেঙ্গলের মাধ্যমে ইস্টার্ন ডুয়ার্স বি এড ট্রেনিং কলেজ স্থাপন এবং তা এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পরবর্তীতে শিলিগুড়ি তরাই এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পরিচালিত খড়িবাড়ি বুড়াগঞ্জের শিলিগুড়ি তরাই বি এড কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি বিরাট ভূমিকা গ্রহণ করেন।২০১৪ সালে যে তরাই বি এড কলেজে মাত্র ২০০ জন শিক্ষক হওয়ার ট্রেনিংয়ের জন্য ভর্তি হতেন, এখন তা চারশো ছাড়িয়েছে।সিকিম, অরুনাচল প্রদেশ, মেঘালয় থেকেও বহু ছাত্রছাত্রী এখন ভর্তি হতে আসছেন তরাই বি এড কলেজে।পুস্পজিৎবাবু জানাচ্ছেন, এখন করোনা পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আধুনিক নেট প্রযুক্তির শিক্ষা কতটা প্রয়োজন। আর সেদিকে তাকিয়েই এখন নেট প্রযুক্তির ওপর বাড়তি অনলাইন ক্লাস হচ্ছে তাদের। করোনার আগে যে স্কুলে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল বেশি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিতেন এখন সেই ছাত্রছাত্রীদেরকে তাঁরা অনলাইনে ক্লাস করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করার কথা বলছেন। ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার শিক্ষাও তাঁরা এখন বেশি করে দিচ্ছেন। পুস্পজিৎবাবু আরও বলেন, গ্রামের উন্নয়নই আসল উন্নয়ন। তাই গ্রাম উন্নয়নের ওপরই এখন তাঁর কাজ বেশি করে চলছে । গ্রামের মানুষের কাছে যাওয়া, তাদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা তাঁর এখন অন্যতম বড় কাজ।করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা বসে নেই বরঞ্চ নিঃশব্দে চলছে তাদের কাজ।