বার্ধক্যে পৌঁছেও সবসময় পুত্র, কন্যা,পুত্র বধূ, নাতিনাতনি সকলকে সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন প্রয়াত এই মহিলা

নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি ৭৪ বছর বয়সে পৌঁছেও সব সময় তার পুত্র রানা দে সরকার, পুত্রবধূ অর্পিতা দে সরকার, কন্যা চন্দ্রানী বেসরকার, নাতি রাজদীপ দে সরকার এবং নাতনি আরাধ্যা দে সরকার— সকলকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করে গিয়েছে। প্রয়াত বাসন্তী দে সরকারের স্বামী ছিলেন প্রয়াত জিতেন্দ্র মোহন দে সরকার। প্রয়াত জিতেন্দ্র মোহন দে সরকার শিলিগুড়িতে টেবিল টেনিসের এক বিরাট পথপ্রদর্শক ছিলেন। টেবিল টেনিসের জন্য অসামান্য অবদান রেখে গিয়েছেন প্রয়াত জিতেন্দ্র মোহন দে সরকার। তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে।আর তাঁর স্ত্রী বাসন্তী দে সরকার প্রয়াত হন গত বছর। তাই প্রয়াত বাসন্তী দে সরকারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার শিলিগুড়ি বাবুপাড়ায় বাসন্তীদেবীর প্রতি সারাদিন ধরে শ্রদ্ধা ভক্তি নিবেদন করলেন তার পুত্র তথা বিশিষ্ট ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিত্ব এবং সংস্কৃতি কর্মী রানা দে সরকার,পুত্রবধূ অর্পিতা দে সরকার, কন্যা তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী চন্দ্রানী দে সরকার, নাতি রাজদীপ দে সরকার, নাতনি আরাধ্যা দে সরকার। তারা সকলেই বাসন্তী দে সরকারকে স্মরণ করতে গিয়ে জানালেন, সঙ্গীত চর্চা থেকে নৃত্য, তবলা, অঙ্কন, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ইতিবাচক কাজে এবং সামাজিক ও মানবিক কাজে সব সময় উৎসাহ দিয়ে দিয়েছেন বাসন্তীদেবী। এমনকি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি পুত্রকন্যা, পুত্রবধূ, নাতি নাতনিদের সংস্কৃতি চর্চার প্রতি প্রাণপণে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। তাই এদিন বারবার অশ্রু সজল নয়নে তার পরিবার তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরন করলো। তার পুত্রবধূ অর্পিতা দে সরকার খবরের ঘণ্টার সংবাদ পাঠিকা এবং সহ-সম্পাদিকা। অর্পিতা দে সরকার জানালেন, তার নৃত্য চর্চা থেকে সঙ্গীত চর্চা, লেখালেখি সহ সৃজন কাজ এমনকি খবরের ঘণ্টার সংবাদ পাঠেও উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন তার শাশুড়ি মা। কখনোই শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর মধ্যে বিরোধ ছিল না। সংস্কৃতি চর্চা তাদের সব বিরোধ কমিয়ে তাদেরকে এক পবিত্রমেলবন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিল যা বারবার স্মরণ করলেন অর্পিতা দে সরকার। অপরদিকে রানা দে সরকার জানালেন, তার প্রয়াত পিতা জিতেন্দ্র মোহন দে সরকার স্মরণে টেবিল টেনিস খেলাকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে । তাছাড়া এক বছর আগে প্রয়াত তার মা বাসন্তী দে সরকার স্মরণে তারা ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে নানান কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা চাইছেন তাদের বাবা-মায়ের দেখানো রাস্তা ধরে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি তথা ইতিবাচক ভাবনা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়ুক যাতে নতুন প্রজন্ম ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে ভালো থাকতে পারে। স্কুল ছাত্র তথা কিশোর রাজদীপ দে সরকার বলে, তার মাঝেমধ্যেই মনে পড়ে ঠাকুমার কথা। ঠাকুরমা তাকে সব সময় তবলা চর্চায় উৎসাহ দিতেন। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অন্য ভাল কাজেও সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন ঠাকুর মা বাসন্তী দে সরকার। তাই ঠাকুর মাকে কখনোই ভোলা যায় না, ভোলা যাবে না

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—