শিলিগুড়িতে মুকুন্দ মজুমদারের মূর্তি বসানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গত ১০ জানুয়ারি কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটির সভাপতি ডাঃ মুকুন্দ মজুমদার। গত শুক্রবার ২৭শে জানুয়ারি শিলিগুড়ি চার্চ রোডে প্রয়াত মুকুন্দ মজুমদার স্মরনে এক সভা হয়। সেই সভায় শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, তৃনমুলের জেলা চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জীব চক্রবর্তী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া বাংলা ভাষার প্রচারক আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আশীষ ঘোষ, ধ্রুব সরকার, মহেশ্বর বর্মন,ভাস্কর মজুমদার সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রত্যেকেই মুকুন্দবাবুর বিভিন্ন গুন নিয়ে আলোচনা করেন। বিগত চার দশক ধরে চক্ষু চিকিৎসক হিসাবে মুকুন্দবাবু রোগী সমাজে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। নিজের বহু ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে মুকুন্দবাবু বাংলা ভাষার জন্য অকৃত্রিম লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।চক্ষু চিকিৎসার জন্য রোগী দেখে যে অর্থ তিনি রোজগার করতেন তার প্রায় অধিকাংশই তিনি বাংলা ভাষার আন্দোলনের জন্য ব্যয় করতেন। দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন যখনই দানা বেঁধেছে তিনি সমতল থেকে তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে বারবার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে গর্জে উঠেছেন।বয়স খুব বেশি হলেও বয়সকে বয়স না মনে করে একজন তরুণের মতো বাংলা ভাষার জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন।তাঁর এই অসামান্য এবং বিরল প্রতিভার জন্য শিলিগুড়িতে একটি রাস্তার নাম ডাঃ মুকুন্দ মজুমদার সরনি করবার দাবিও ওঠে সেই সভায়। শুধু তাই নয়,যে বিধান মার্কেটের অটো স্ট্যান্ডে মুকুন্দবাবুর আন্দোলনের প্রান কেন্দ্র ছিলো সেই স্থানে তাঁর একটি মর্মর মূর্তি স্থাপনেরও দাবি উঠেছে। প্রয়াত মুকুন্দ মজুমদারের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা স্মৃতিকনা মজুমদার জানিয়েছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস।সেদিনও বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান হবে।