নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গত ২৭শে অক্টোবর কলকাতার একটি নার্সিংহোমে প্রয়াত হন শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল ট্রেনে করে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নিয়ে আসা হয় তার মরদেহ। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ এবং সেখান থেকে বাম দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত সহ আরও অনেকে । এরপর কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোক ভট্টাচার্যকে ফোন করে সমবেদনা জানান। বাম ছাত্র সংগঠন থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রয়াত রত্না ভট্টাচার্য। এরপর অশোক ভট্টাচার্যের সাথে বিয়ের পর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অশোকবাবুর পাশেই দেখা যেত তাকে। এদিন বাম – ডান সকলে বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে সমবেদনা জানান। অশোকবাবু তাঁর স্ত্রীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পিছনে স্ত্রীর প্রেরনা, স্মরনে অশোকবাবু বারবারই বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে এ বিরাট ক্ষতি।
