মোটিভেশনাল ভিডিওর নেশায় ডুবে থাকছে মদের দোকানের এই কর্মী,শংসাপত্র এবং পুরস্কার এলো ইউ টিউব থেকেও

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা তাঁর হয়নি।কিন্তু তাঁর ভিতরে ঈশ্বর প্রদত্ত যে প্রতিভা শৈশব থেকে ছিলো তা একসময়ে বিকশিত হয়ে তাঁকে আলোর দিশারী সত্যদ্রষ্টা এক মহাপুরুষ হিসাবে চিহ্নিত করে। আজও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কোটি কোটি ভক্তের পরম শ্রদ্ধা ও ভক্তির পাত্র। সেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বহু ভক্ত ও শিষ্যের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গিরীশ ঘোষ। অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন এই গিরীশ ঘোষ। সঙ্গীত স্রষ্টা থেকে কবি,নাট্যকার,ঔপন্যাসিক, নাট্য পরিচালক এবং নট হিসাবে আজও বাংলার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী নাম।কিন্তু এই গিরীশ ঘোষ প্রচন্ড মদ্যপান করতেন। মদ ছাড়া তাঁর এক মুহুর্ত চলতো না।একবার গভীর রাতে খুব মদ্যপান করে গিরীশ ঘোষ উপস্থিত হয়েছেন দক্ষিনেশ্বর মন্দিরে।মদ্যপ অবস্থায় তিনি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে ঠাকুর, ঠাকুর বলে ডাকছেন।ঠাকুর শেষে বেরিয়ে এলেন।ঠাকুর বুঝলেন গিরীশ ঘোষ মদের নেশায় বিভোর।উভয়ের মধ্যে এক দুটি কথাবার্তার পর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব গিরীশ ঘোষকে বলছেন,”মদ খেয়েছিস তো কি,আমিও মদ খেয়েছি। সুরাপান করি না আমি,সুধা খাই জয় কালী বলে,মন-মাতালে মাতাল করে, মদ-মাতালে মাতাল বলে”। এই বলে গান গাইতে গাইতে গিরীশ ঘোষের হাত ধরে নাচতে লাগলেন ঠাকুর।
মহামূল্যবান এই ঐতিহাসিক ঘটনা এই প্রতিবেদনে মেলে ধরতে হলো আজকের দিনের একটি দৃষ্টান্ত স্বরুপ বিশাল ঘটনা প্রসঙ্গে। শিলিগুড়ি এনজেপি ভক্তিনগরে বাড়ি বিশাল দাসের। কর্মসূত্রে বিশাল শিলিগুড়ি এস এফ রোডের একটি বিদেশি মদের দোকানে রয়েছে। সারদিন সেই মদের দোকানে মদ বিক্রি করে বিশাল।কিন্তু হাজারো মদের বোতলের মাঝে থাকলেও মদের নেশায় ডুবে থাকে না বিশাল। মদের নেশা বিশালকে স্পর্শ করতে পারেনি।ও ডুবে থাকে ভিডিও তৈরির নেশায়। কাজের ফাঁকে যখনই অবসর মেলে বিশাল ভিডিও তৈরি করেন।কিন্তু কি ধরনের ভিডিও? যেসব ভিডিও দেখে মানুষ সচেতন হবেন তেমন ভিডিও। জলের অপচয় বন্ধ করা,ডেঙ্গু সচেতনতা, সবুজায়ন প্রভৃতি। কোনো বিশেষ ডিগ্রি বা পড়াশোনা নেই বিশালের।অথচ কি প্রতিভা দেখুন,নিজেই সচেতনতামূলক মোটিভেশনাল ভিডিওর কনটেন্ট স্থির করছেন,আবার নিজেই ডাবল ত্রিপল রোল করে অভিনয় সারছেন।আবার নিজেই সব ভিডিও এডিট করছেন।ছোট ছোট সেই সব ভিডিওর মাধ্যমে বিশাল তাঁর অন্যরকম প্রতিভা মেলে ধরছেন ইউ টিউব দর্শকদের সামনে। দিন-রাত সেই অভিনয় ভিডিও একের পর এক ইউ টিউবে পোস্ট করার জেরে বিশালের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এক লক্ষ অতিক্রম করেছে। আর এরজন্য ইউটিউব থেকে শংসাপত্র সহ অন্য পুরস্কার পেয়েছেন বিশাল। শিলিগুড়ি এস এফ রোডে সেই মদের দোকানের অন্য কর্মীরাও বিশালের এই কাজে বেশ খুশি এবং গর্ব অনুভব করছেন। খবরের ঘন্টা বিশালের এই প্রতিভা অতীতে বারবার মেলে ধরেছে এবং বিশালকে উৎসাহিত করেছে ভালো এক নেশার জন্য। সেই কারনে এদিন মঙ্গলবার খবরের ঘন্টার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রতিভাবান তরুণ বিশাল দাস।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —