দৌড়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সীমাদেবীর একটি চাকরি চাই

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। ঘরের মহিলাদের সম্পর্কে এ এক প্রবাদ বাক্য। কিছু প্রতিভাময়ী মহিলা ঘর সংসার সব সামলে নিজের অন্যরকম প্রতিভা বিকাশে নজর দেন যাতে দেশ ও সমাজেরও উন্নয়ন হয়। আবার কিছু মহিলা ঘর সংসার সামলে বিকেল হলে পরনিন্দা পরচর্চায় মেতে ওঠেন। শিলিগুড়ি শান্তিনগর পাইপলাইন এলাকার বাসিন্দা সীমা চক্রবর্তী কিন্তু ঘর সংসার সব সামলে নিজের প্রতিভা বিকাশে নজর দিয়েছেন। আর সেই প্রতিভা বিকাশের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জেরে সফলও হলেন গৃহবধূ সীমাদেবী।সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় দৌড় প্রতিযোগিতায় সব রাজ্যের প্রতিযোগীদের হারিয়ে একটি ইভেন্টে সোনা জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন সীমাদেবী। অন্য দুটি ইভেন্টে জিতেছেন রুপা। শিলিগুড়ির এন্ড স্মাইল পরিবারের সমাজসেবী নবকুমার বসাক সীমাদেবীকে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা করেন।শিলিগুড়ি তরাই এথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক কার্তিক পালও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই প্রতিভাময়ী খেলোয়াড়কে।
রাজ্য স্তরেও সাফল্য রয়েছে সীমার। বহু পুরস্কার তাঁর এসেছে। আগামীতে বাংলাদেশের ঢাকাতে আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশ ও রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধি করতে চান সীমাদেবী। তবে এইসময় তাঁর দরকার একটি চাকরি। একটি চাকরি হলে দৌড়ের অনুশীলন আরও ভালোভাবে করতে পারবেন।বর্তমানে তাঁর ঘরে চলছে আর্থিক সঙ্কট। স্বামী প্রদীপ চক্রবর্তী সামান্য একটা প্রেসে বাইন্ডিং এর কাজ করেন। ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।দৌড়ের নিয়মিত অনুশীলন চালাতে হলে পুষ্টিকর খাদ্যও প্রয়োজন। কিন্তু সীমার সেসব জোটে না বললেই চলে।সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না বান্না, স্বামীকে পেট পুরে খাইয়ে কাজে পাঠানো, তারপর সাংসারিক অন্য কাজ।বিকাল হলেই মাঠ টানে তাঁকে। দৌড় আর দৌড়। দৌড়ের জেরে শ্বাসকষ্টর রোগটাও কমেছে তাঁর। ভালো থাকতে তাই সকলকে দৌড়ের অনুশীলন করার পরামর্শও দিচ্ছেন সীমাদেবী।