নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ভ্রমন করতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর হঠাৎ বন্ধ ভ্রমন। গরিব মানুষদের মনে হাসি ফোটানোই হয়ে ওঠে তাদের অন্যরকম ভ্রমন কর্মসূচি। এ কেমন পর্যটক তাঁরা? ভ্রমণের টাকায় গ্রামের গরিব মানুষের মনে হাসি ফোটানোর কর্মসূচিতে এ কোন পর্যটকের দল?
আসলে বেশ কয়েকবছর আগে হুগলির রিষড়া থেকে তাঁরা পাঁচটি পরিবার মিলে উত্তরবঙ্গের পাহাড় গ্রাম ভ্রমনে আসেন। ঘুরতে ঘুরতে স্থানীয় গ্রাম বস্তির অনেকের মুখে তারা হাসি দেখতে পাননি। তখনই তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা ঘুরে ঘুরে আনন্দ করবো আর গ্রামের মানুষরা গোমড়া মুখে থাকবে তা হয় না। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ।সেই সময় তারা স্থির করেন, ঘোরাঘুরির পিছনে অতিরিক্ত উদ্দাম পয়সা খরচ না করে এসব গরিব মানুষের পাশে থাকা যেতে পারে। এরপর তাঁরা পাঁচ জন থেকে হয়ে ওঠেন পঞ্চাশ জন পরিবার।তৈরি করেন পর্যটক নামে সংস্থা। সেই সংস্থার এখন সদস্য সংখ্যা একশ।প্রতি বছর তাঁরা হুগলি থেকে বছরের একদিন দিন ঠিক করে চলে আসছেন উত্তর বঙ্গের পাহাড় গ্রামে।তারপর বিলি করছেন বস্ত্র, শুধু বস্ত্র বিলিই নয়, চা বাগান বনবস্তি বা গ্রামের মানুষদের পেট পুরে খাইয়ে তাঁরা হাসির ফোয়ারায় মাতিয়ে তুলছেন।এ এক অন্যরকম মানবিক কর্মসূচি। এবারে গত দুদিন ধরে তাঁরা পদ্মশ্রী করিমূল হকের গ্রাম রাজাডাঙা অঞ্চলের ১৬ ঘরিয়াতে রীতিমতো তাঁবু তৈরি করে রাত্রিযাপন করলেন।তারপর গ্রামের মানুষের মধ্যে বিলি করলেন শাড়ি, চাদর, সোয়েটার,শিশুদের খেলনা প্রভৃতি। শুধু সেসব বিলি করাই নয়, তাঁরা হুগলি থেকে উত্তর বঙ্গের ওই গ্রামে এসে তাঁবু খাটিয়ে মিশে গেলেন গ্রামের মানুষদের সঙ্গে। গ্রামবাসীদের একদিন মাংস ভাত খাইয়ে ফুটবল খেলারও আয়োজন করলেন।মেতে উঠলেন স্থানীয় আদিবাসী ও লোক সংস্কৃতি নিয়ে। পদ্মশ্রী করিমূল হক হুগলির পর্যটক সংস্থার এই অসাধারণ মানবিক প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন।