নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা সতর্কতার জেরে গোট দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। সেই লকডাউনের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের যৌন পল্লীগুলোতেও। আর এই অবস্থায় যৌন কর্মীদের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বন্টনের কাজে নেমেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
রাস্তায় লোকজন নেই। যানবাহনও চলছে না। দূরদূরান্ত থেকে খদ্দের হিসাবে আসা ট্রাক চালকদেরও দেখা নেই। আবার খদ্দের এলেই হবে না। তাদের থেকেতো করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই উত্তরবঙ্গের যৌন পল্লীগুলোতে যৌন কর্মীরা আপাতত খদ্দের গ্রহনেও লকডাউন শুরু করেছে। তাতে যৌন কর্মীদের অর্থের অভাব বা খাবারে টান পড়েছে। এই অবস্থায় কোচবিহার জামালদহের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পঞ্চপান্ডব ছাড়া অন্য কিছু সংস্থা যৌন কর্মীদের মধ্যে ত্রান সরবরাহের কাজে নেমেছে করোনা সতর্কতা মেনে। শিলিগুড়ি রাজবংশী রিপ মিনিস্ট্রির সমাজসেবী কৌস্তুভ দত্ত জানিয়েছেন, জমালদহের পঞ্চপান্ডব সংস্থার কর্ণধার মৃন্ময় ঘোষ চ্যাংরাবান্ধা যৌন পল্লীতে সাড়ে তিন ক্যুইন্টাল চাল, এক ক্যুইন্টাল আলু, সয়াবিন সহ অন্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। কোচবিহার যৌন পল্লীতে একটি চার্চের তরফে চাল, আলু সহ অন্য খাদ্য শুক্রবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কৌস্তভবাবু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের আটটি যৌন পল্লীতে করোনা সতর্কতার অঙ্গ হিসাবে এখন কোনও খদ্দের গ্রহণ করছে না যৌন কর্মীরা। ফলে এলাকাগুলোতে খাদ্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই জন্য মানবিক কারনে তারা কিছু সংস্থা মিলে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছেন। প্রশাসনকেও মানবিক দিক থেকে বিষয়টি ভাবতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশনের সমাজসেবী তরুন মাইতি জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি খালপাড়ায় দুর্বারকে সঙ্গে নিয়ে তারা এইচ আই ভি আক্রান্ত যৌন কর্মী ও তাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে কিছু খাবার বিলি করেছেন। একই সাথে এইডস আক্রান্তদের ওষুধ পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে তারা নজর দিয়েছেন।