পুজোর মুখে খুলে গেল রায়মাটাং ও কালচিনি চা বাগান

নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ার, ২৭ সেপ্টেম্বরঃ প্রতিবছর যে উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকে সারা বাংলা, তার নাম দুর্গোৎসব। আর এই উৎসবের মরসুমে যদি অনেকদিনের প্রত্যাশার কিছু পাওয়া যায়, তবে কয়েকগুণ বেড়ে যায় উৎসবের আনন্দ। ঠিক এমনটাই ঘটলো ডুয়ার্সের কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে। দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর পূজার মুখে অবশেষে রবিবার থেকে খুলে গেল ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগান ।

২০১৯ এর ২৬ অক্টোবর বন্ধ হয়ে যায় বক্সা ডুয়ার্স টি কোম্পানির অন্তর্গত এই দুটি চা বাগান। আর বাগান বন্ধ হওয়ার ফলে কর্মহীন হয়ে পরেন এই দুটি চা বাগানে কর্মরত প্রায় ৩২০০ শ্রমিক। যার ফলে ভবিষ্যত অন্ধকারে ডুবে যায় এতগুলি শ্রমিক পরিবারের। অবশেষে শনিবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । সেই অনুযায়ী রবিবার থেকে খুলে গেল কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগান । পূজার আগে ডুয়ার্সের এই দুটি চা বাগান খুলে যাওয়ায় খুশি এই দুই চা বাগানে কর্মরত ৩২০০ শ্রমিক পরিবার।

এই বিষয়ে চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কালচিনি চা বাগান সম্পাদক ওমদাস লোহার জানান, বাগান খোলাতে খুশি তারাও। এবার যেন সঠিক ভাবে কর্তৃপক্ষ বাগান পরিচালনা করেন তার দাবী জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কালচিনি চা বাগান সম্পাদক ওমদাস লোহার ।

অন্যদিকে, আর এস পি শ্রমিক নেতা গণেশ লামা জানিয়েছেন বাগান খোলায় তারা খুশী। চা শিল্প অন্যান্য শিল্পের মতই মসৃণ গতিতে চলবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাগান পরিচালনা করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর দাবী জানিয়েছেন আর এস পি শ্রমিক নেতা গণেশ লামা।

অপরদিকে, এই বিষয়ে বি টি ডাব্লু ইউ এর সভাপতি ফিরোজ গোয়ালা জানিয়েছেন, পূজার আগে বাগান খোলায় শ্রমিকদের পাশাপাশি খুশি তাদের সংগঠনের নেতারাও।